লখাই, এ পাড়ার দামাল ছেলে
সবাই চেনে সবাই জানে সবাই করে বকাবকি ;
আদর করে কেউ বলে,
এ ছেলে বাতাসের আগায় দড়ি বাঁধতে পারে ;
স্বার্থোদ্ধারের খাতিরে আবার কেউ তাকে
'লক্ষণ' বলেও ডাকে ।
লখাই, ধোপা বাড়ির মেজো ছেলে
ন'ভাই ছ'বোনের,
মুখার্জীর মেয়েটাকে কূয়ো থেকে তোলে দিয়ে
পোকায় ধরা বৈষ্ণবী'র লাশটাকে একা পুড়িয়ে
মৃতপ্রায় কুকুরটাকে চিকিৎসা করিয়ে
নীলরতনের থাবা থেকে লাবনীকে বাঁচিয়ে ;
অনেক রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার পাওয়া হয়ে গেছে তার
নন-অফিসিয়াল,
ইসকুলের গন্ডী তার বড় ভাল লাগার
তাই সে পেড়োতে পারে না বার বার ,
বাড়ান্দায় শত শত পুষি কাঠবেড়ালী আর
বানর, বেড়াল, কুকুরে অভাবের সংসার ।
হাসপাতালের চত্বরে ভীড় দেখে চমকায়
প্রশ্ন করে, কে রোগী ? মন্ত্রী মিনিষ্টার ?
নীরবতার বুক চিরে হাহাকার করে
'লখাই বাঁচবে তো' !
ইমার্জেন্সির কক্ষে ব্যস্ত মলম লাগাতে
আর্তনাদে কেঁপে উঠে হাসপাতাল,
পুড়ে বুঝি ছাড়খার লখাই এর সংসার
কেন যে গেল সে বাঁচাতে আমাকে
কেন যে শর্ট ছিল ঐ ট্রান্সমিটার !


হ্যাঁ রে লখাই, তুই কি জানিস না
তোর জন্য কাঁদবে পাড়া, কাঁদবে গ্রাম
না খেয়ে মরবে ওরা...
আমার কলম থেমে যাবে যখন তোকে দেখব মরা !
এবার ফিরে আয় বাছাধন, মরিস্ না
নিজের তো আর কিছু নেই অন্ততঃ
আমাদের জন্য মরিস্ না ।