আমি গল্পের মধ্যে ডুবে ছিলাম;
হঠাৎ দরজা খোলার শব্দ হল-
কান সে দিকে গেলেও,
চোখ বইয়ের পাতায় পড়ে রইলো।
যে দরজায় এসেছে চোখ না তুলেও
আমি তাকে চিনতে পারলাম।
কারণ আমার চোখ,কান,মন
সবাই তাকে চিনে,
তবে কেন-কারণ জানিনা।
গল্পে চোখ রেখেই বল্লাম কিছু বলবে?
দাড়িয়ে থাকা নন্দিতা নিরব।
আমি আবার বল্লাম,কিছু বলবে?
নন্দিতা এবার মুখ খুললো;
বলল-বলেছি তো!
আমি শুনতে পেলামনা যে;
আমি মুখে বলিনি,মন থেকে বলেছি।
মুখ যখন নিরব থাকে,তখন মন কথা বলে।
আর মনের কথা মন দিয়ে বুঝে নিতে হয়।
আমি কি বলেছি তোমার মনের কাছে জেনে নিও।
আমি এবার তার দিকে তাকালাম!
নন্দিতা চলে গেল,মনে হল রাগ করেছে
তবে পিছু তাকানোতে মনে হল,
শুধু রাগ নয় অনুরাগও আছে।
আমি আবার মনোযোগ দিলাম গল্প পড়ায়।
গল্প পড়া শেষে মনে হল-হাজারো গল্পে
যে নন্দিতাকে খুজে বেড়িয়েছি,
সে নন্দিতা আজ আমার দুয়ারে দাড়িয়ে।
তিনটি বছর পাশাপাশি বাস করেও
সে শুধু গল্পে ছিল,
আজ যেন মনের গহীনে নোঙ্গর করলো।
এ যেন এক পল্পের সমাপ্তি।