আজ আমার বলার সময় এসেছে
মুখ বুজে থেকে যা হারিয়েছি
তা আমি কোন দিন ফিরে পাবোনা;
কিন্তু অবশিষ্ট যেটুকু আছে তা হারাতে দিবোনা।
একেকবার মনে হয় রংধনুটা আকাশে নয়,আমার মনে!
তফাতটা শুধু আকাশের রংধনুটা রং বদলায় না
আমার মনের আকাশের রংধনুটা রং বদলায়।
সাতটি রং আমার মাঝে স্থায়ী হয়না,বার বার বদলায়।
রংধনুটা আমাকে শান্তি দেয়নি,কোন দিন দিবেও না হয়তো,
অর্থ যশ খ্যাতিতে আমার যখন লালে লাল
সে দিন নন্দিতা চেয়েছিল ভালবাসা
আর আমি চেয়েছিলাম ঠোটের স্পর্শ;
মানুষ যেমন কিছু পায়,তেমনি আবার হারায়
ঠিক তেমনি আমি যখন কষ্টের নীলের পতন ছন্দে
সে দিন আমার চাওয়া ছিল উপরে উঠার সিঁড়ি
নন্দিতা চাইতো আমায় পড়াতে মানবতার বেড়ি।
আমার মাঝে যখন সবুজের সমারোহ
তখন আমি চেয়েছিলাম, সবুজ বৃক্ষে একটি গোলাপ
যা ফুলদানিতে রেখে রূপ রস নিগড়ে নেবার জন্য।
আর সে চেয়েছিলো গন্ধ বিলিয়ে আমাকে সুখী করতে।
সম্ভব হয়নি কারন তখনও আমার মাঝে
চারটি রং বদলানোর বাকি ছিল!
যত রং পাল্টায় তত জীবনের ধাপ গুলিও পাল্টায়
হলুদ সরষে ফুল যখন উজাড় করে মেলে ধরে তার অবারিত বুক,
আকাশ তখন নিচে নেমে আসে,সীমানায় মিলিত হয় প্রকৃতির প্রেমে
তেমনি কোন এক হলুদিয়া ধাপে আমি চেয়েছিলাম বাসর
আর তখন নন্দিতা চাইলো বালুচর!
বুঝলাম হেলায় হেলায় আজ অবেঁলা,কালোর খোলসে আরেকবার বদল:
নন্দিতা চেয়েছিল আর না হোক দেখা,
আমার চাওয়া তাকে নিয়ে জীবন হোক সাদামাটা।
চাইলাম সাদাতে হল রং বদলে খয়েরী,ততক্ষনে নন্দিতা অন্যের ঘরে;
বুকের পাজরে কষ্ট বুনে করছে তখন কাচের র্স্বগ তৈরী।
পরিশেষে সাদা রং,ততক্ষনে আমি সং।
সেখানে তখন নানা রঙেগর দাগ আর চিহৃ।
অতীতের ভুল গুলো এভাবেই মনের খাতায় দাগ হয়ে থাকে চিরকাল;
ঠিক মানুষের চেহারার মত,উপরে সুন্দর শরীর আর ভিতরে ময়লার স্তুপ।