নিকোটিনটা এখন খুব একটা ধরে না তেমন।
অনায়াসেই হজম করে ফেলি কাল-কেউটের বিষ।
এসব হজমের ক্ষেত্রে  আমি এখন যথেষ্ট সামর্থ্যবান।
শরীরের রক্ত রন্ধ্র শিরা, প্রতিটি  ইন্দ্রিয় এখন
অসামান্য যোগ্য আমার।
নিমিষেই হজম করে ফেলি জ্বলন্ত আগুন।
সুরার সাকিতে গোগ্রাসে গিলি সালফিউরিক এসিড;
মৃত্যুঞ্জয়ী উল্লাসে।
সুগন্ধি আতর ভেবে সারা গায়ে মাখি ডাইমিথাইল।
ক্লোরিন না খেলে কোন ভাবেই ঘুমোতে পারিনা ইদানিং...


ঐন্দ্রিলা....
তুমি আমাকে নতুন জীবন দিয়েছ।
প্রেমিক থেকে প্রাণী তৈরি করেছ এক দুর্লভ প্রজাতির।
তোমার চারু হাতের দক্ষতায় প্রয়োগকৃত সস্তা
প্রেমের নীলাভ বিষে আজ আপাদমস্তক
বিষাক্ত আমার।
হৃৎপিণ্ড পুড়ে খাক হয়ে গেছে তোমার বিষমাখা নিঃশ্বাসে।


তোমার কাছে আমার অপরিশোধ্য ঋণী ঐন্দ্রিলা।
যেমন করে মানুষ প্রকৃতির কাছে  ঋণী।
ভাগ্যিস বিষ গিলতে শিখিয়েছিলে সুনিপুণ ছলনায়।
নয়তো কবেই মাটি হয়ে যেতাম কে জানে!
এই বিচিত্র প্রজাতির প্রাণী হয়ে সবার অলক্ষ্যে
তোমার বৈচিত্র্য অবলোকনের সৌভাগ্য করে দেয়া,
শুধুই তোমার অবদান।
কৃতজ্ঞতা গ্রহণ কর ঐন্দ্রিলা!
তোমার সমীপে এটাই অবশিষ্ট শেষ প্রেমার্ঘ আমার।
----------++++++-----------