আক্ষেপটা রয়েই গেল বুকে,
ভাল আছি যতই বলি মুখে।
তোকে ছাড়া এমন বাঁচার হয় কি কোন মানে?
তোকে ছাড়া কেমন থাকি,
দুঃখ রাশি কেমনে ঢাকি,
কেমন থাকি ভেতর-বাহির ঐ বিধাতা জানে।
বলতো দেখি!
তুই কি কোন ভোলার মানুষ ছিলি?
কেমন করে তবুও ভুলে গেলি?
এক জীবনের সবটা দিলি যাকে,
কোন পরাণে থাকিস ভুলে তাকে?
সাপের মতন খোলস বদল তোর কি কভু সাজে?
তোর কাছে আজ গিরগিটিও হার মেনে যায় লাজে।
কৌশলটা ভালই ছিল তোর.....
প্রেমের সুরুজ দেখলো না আর ভোর।
তাচ্ছিল্য, ঘেন্না ভরা অবহেলার তীরে
ঘাটের মরা পাগলটাকে মারলি ধীরেধীরে।


হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ.......
না মরিনি, দেখ হাতিয়ে শ্বাসটা আজও চলে,
কেউবা ডাকে বিশ্বপ্রেমিক কেউ বা পাগল বলে।
জাহান্নামের আগুন বুকে ঘাপটি মেরে থাকি
বিষমাখা তোর তীরের ব্যথা হাসির ঠোঁটে ঢাকি।
তা হ্যাঁরে;
তোর  নতুন  মানুষ  খুব  কী  আদর  করে?
আমার মতো পেছন থেকে জড়িয়ে সেও ধরে?
তার কাছে কি বায়না ধরিস খুব?
আদর  দিলে  থাকিস  বুঝি  চুপ?
সে দিনের সেই মাতাল চাওয়া, ধাওয়ার মাঝে পালটা ধাওয়া,
রক্ত জমাট বাঁধলো বুকের ডানে।
খুব যতনে সামলে রাখিস, ছল বা কোন ছুতোয় ঢাকিস,
বললে কিছু এড়িয়ে চলিস ভাণে।
তোর চুলের গন্ধ মুখের লালা, আজও  দ্বিগুণ  বাড়ায়  জ্বালা,
কার কাছে কি বলি?
শেষ  উপহার  মরণবানে, বুকের ভেতর  ত্রিশূল  হানে,
মুখ   লুকিয়ে   চলি।


আপন মানুষ;
পারলি দিতে এমন চতুর ফাঁকি?
আসবো ফিরে,
তোর সাথে যে অনেক হিসেব বাকি।
খুব যতনে খেললি নিপুণ খেলা,
দেখা হবে হলেও সাঁঝের বেলা
অধিক ভালোবাসতে গিয়ে করলি অপরাধী,
কার কাছে আর নালিশ জানাই, কার কাছে হই বাদী
আর ভাবি না,
একটা জীবন যাচ্ছে কেটে যাক,
ভালোবাসার মানুষ ভালো থাক।
পরজনমে বাউল হবো,
শুদ্ধ প্রেমের প্রেমিক হবো,
এই জীবনের ভালাই দিয়ে,
তোকে সেদিন চেয়ে নেবো খোদার কাছে।
ভালোবাসার সাধ মেটাবো ইচ্ছে মতো ভালোবেসে।
এই জনমের নাকের নোলক, চুলের গন্ধ ঠোঁটের তিলক,
ওই জনমে থাকে যেন।
এই জীবনের লেনাদেনা চুকিয়ে দেবো ঐ জীবনে।
প্রতীক্ষা আর ভাল্লাগেনা,
সুখ নিতে চাই এক মরণে।
ভালোর সাথে ভাল থাকিস, অনেক ভাল।
-------++++++--------