বিক্ষিপ্ত রুগ্ন কল্পনারাশিকে যতোই
কেন্দ্রীভূত করতে চাই,
তা ঘূর্ণ্যয়মান বিকেন্দ্রীক শক্তিতে ততোই
যেন বিস্তৃত হয়।
সংক্রামিত হয় আমার স্নায়ু তন্ত্রে,
আমাকে মেরে ফেলে যেন।
আর মস্তিষ্কের তরল ভাবনা গুলোকে
যতোই চাপিয়ে রাখি,
পিষ্ট করতে চাই পদতলে,ওটা ততোই
যেন বিস্ফোরিত হয় প্লাস্টিক
বারুদের মতো শতাধিক শক্তিতে।
আমি পুড়ে ছাই হয়ে যাই নিজে থেকে নিজে।


আমি যেন স্বেচ্ছায় ঘর বেঁধেছি একটা
দুর্গন্ধযুক্ত নর্দমায়।
যার উৎকট গন্ধে আমার প্রাণ ওষ্ঠাগত।
আর সেই ঘরের দাওয়ায় বসে আয়েসি
ভঙ্গীমায় বিলেতি বাবুদের মতো শ্যাম্পেন
রূপে পান করছি সেই নর্দমারই জল,
পরম বিলাসিতায়।
আমি জানি ওটা বিষাক্ত,
ওটাতে আমার মরণ অনিবার্য।
তবুও সেই বিষকেই যেন মনে হয় স্বর্গীয় সুধা।
আজ লোকলাজ, হায়া সবই যেন তুচ্ছ
মনে হয় এই অনাকাঙ্ক্ষিত নেশায়।


আমি কতবার কান ধরেছি,কতবার
আত্মার সাথে ব্যর্থ প্রতিজ্ঞা করেছি
আর কখনো পেরুবোনা বলে কুপথের
চৌকাঠ।


আমার রক্তের প্রতিটি কণিকায় আজ
মিশে আছে বিষ।
পরিণতি নিশ্চিত মৃত্যু।
তবুও সেই নেশাই আমার পরমাত্মীয়,
নেশার সাথেই বসবাস।
এই মৃত্যুকেই যেন সজ্ঞানে বন্ধুরূপে
বরণ করেছ সানন্দ আলিঙ্গনে।।
-------------++++++--------------