জীবনের পুষ্পিত বসন্তে হাজার ক্রোশ
মরুময় পথ নগ্ন পায়ে মাড়িয়ে তোমার
আস্কারায় একদিন তোমার শহরে এসে
হাজির হয়েছিল যে প্রেমিক।
অমানিশার নিকষ আঁধার তুচ্ছ করে
তোমার সারা গায়ে মাখিয়ে দিতে যে
করতলে এনেছিল অবারিত জোছনা।  
যে যুবক তোমার কাজল চোখের মাদকতায়
নিমিষেই তোমাতে দ্রবীভূত হয়েছিল
স্যালাইন জলে একচিমটি লবণের মতো।
সমস্ত স্বকীয়তা ভুলে যে তোমাতে অভ্যস্ত
হয়েছিল আপাদমস্তক।  
তুমিই ছিলে যার সৌরজগতের একক মধ্যমণি।
তোমাকে কেন্দ্র করেই ঘুরতো তার
জীবনের গ্রহ তারা নক্ষত্র সব।
অথচ আজ;
রুগ্ন কালের নিষ্ঠুর পরিক্রমন আর তোমার আত্মকেনন্দ্রিক অভিকর্ষজ বলের প্রভাব
তাকে করেছে কক্ষচ্যুত কোন নামহীন নক্ষত্র।


অতঃপর;
জীবন খাতার সমস্ত সমীকরণ যখন
নিঃশেষে বিভাজ্য হলো,
দীর্ঘশ্বাস তখন হলো দীর্ঘ পথের বিশ্বস্ত সহযাত্রী।
দুঃসহ যন্ত্রণাগুলোকে ঘনিষ্ঠ দোসরের মতো
আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে বদ্ধপরিকর যুবক কোন এক প্লাটফর্মে যখন ফিরতি ট্রেনের প্রতীক্ষায়,
তখন পূনরায় মায়াবী হাতে পিছনে ফেরার
হাতছানি কেন?
তবে কি আজও বাকিই রয়ে গেছে
তোমার অবশিষ্ট লাঞ্ছনা দেবার
নতুন কোন সোনালী অধ্যায়?
----------+++++++--------