কি অদ্ভুদ সুন্দর সন্ধ্যা।
ডুবন্ত সূর্যের রক্তিম আভা পশ্চিম আকাশের
সুভ্র মেঘমালাকে যেন লাল বেনারসি  পরিয়ে
দিয়েছে আজ।
আর আজকের জ্বল জ্বলে সন্ধ্যা তারাটা
সু-শোভিত করেছে নব বধুর দিঘল ললাট।
উরন্ত বলাকার দুলানো মালাটা যেন ললনার
গলায় শোভা পাচ্ছে হিরক খঁচিত সিতা হার সম।
পাখ পাখালির কলতানে মুখরিত কুঞ্জবন,
যেন ঘরে ফেরা ভুলে গেছে সবই।
দূরন্ত ফাগুনের অগ্নিঝরা সন্ধাটা মিটে
না যেতেই পূর্বাকাশে উদিত হল চতুর্দশী চাঁদ।
স্নিগ্ধতায় ভাসিয়ে দিল বসুধার দশ দিক।
হাসনাহেনার উগ্র গন্ধ দখিনা সমিরে মাখামাখি  আজ।
জোনাকিরাও আজ ব্যস্ত শুভ-সন্ধ্যা বরণে।
সবাই মাতোয়ারা না জানি কোন অজানা উৎসবে।
বেড়েই চলেছে রাত।
ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক আজ আর পোকা পোকা
মনে হয়না,
ঠিক যেন বাঁজছে কারো বিয়ের শানাই।
জোস্না স্নাত এমন রাতে নির্ঘুম আমি নির্জনে।
এক ভাবনাতেই নিমগ্ন।
কি কারণে আজ প্রকৃতির এত আয়োজন?
ক্ষণিক পিছে ফিরে দেখা,হাতরিয়ে দেখি
স্মৃতির কেলেণ্ডার।
আজ "সাতাশে ফেব্রুয়ারি "।
আমার জানুর বাসর বার্ষিকী।
খুব সুখ অনুভূত হল প্রকৃতির আচরণে।
কিন্তু হঠাৎ বুকের মাঝে এত ব্যথা হচ্ছে কেন?
অজ্ঞাতে,অকারণ।
মুখ ফুটে অবলীলায় বেড়িয়ে এলো
"কোথায় আছ জানু, কার বাহু ডোরে"??
---------++++++++----------