একটা মাখামাখি প্রেমের এক উন্মাতাল  
অভিসারে তার চোখের নীলাভ সমুদ্রে ঝিনুক
খুঁজেছিলাম রাতভর,
আর ঝিনুকের গর্ভে অন্বেষণ করেছিলাম
জীবন্ত মুক্তো।
একটা চাঁদ,
একটা চাঁদমাখা মুখ.....
তার কপোল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছিল
গর্ভবতী জোছনার রূপোলী নহর।
দেখেছিলাম কম্পনরত যুগল ঠোঁটের
রক্তাক্ত আর্তনাদ।
কৃষ্ণকালো মেঘেমালার দীঘল  
সিথিতে অনবরত বিলি কেটেছিল আমার
অনাহারী দশটি আঙুল।
মেদহীন সেই চাঁদের কপালে এঁকে দিতেই এক
গভীর চুম্বন, যেন দৌড়ে পালালো ষোড়শী
যৌবনের লাজরাঙা রাত....


আমার পাঁজর ভাঙা বুকের ভেতর এখন
কেবলই উত্তপ্ত অন্ধকার।
কুহেলিকার অদৃশ্য দেয়াল পেড়িয়ে  আসমানে
শোনা যায় পরিযায়ী স্বপ্নদের বিলাপ ক্রোন্দন।
এখন নৈস্বর্গিক পরিক্রমায় বিমূর্ত স্মৃতির
রুগ্ন এলবাম আদ্র চোখের উষ্ণতা
মাপে একান্ত অগোচরে।  
শ্বাপদ সময় নির্বিকারে গিলেই চলেছে
আমার ধূলায়ীত পাণ্ডুলিপি।


একদিন ক্ষণকালের জন্য আমাকে ক্ষুধার্ত
দেখে আমরণ অনশন করবে বলেছিল সে,
চোখের কোণে সামান্য জল দেখে বলেছিল,
সে হবে আমার চিরস্থায়ী ব্লটিংপেপার।
আজ মনে হয় সেটা ছিল ছেলে ভুলানো নিছক
প্রহসন, নেতাদের দেয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মাত্র।


সঙ্গমরত দম্পতির নগ্ন উরুর ভাঁজে ভাঁজে
কতো কথাই তো লুকিয়ে থাকে অনায়াসে,
স্নানের শেষে কে তা মগজে রেখেছে কবে?
আজও স্মৃতির ক্যানভাসে ভাসমান
তার চাতুর্যময় মিহীন প্রেমালাপ,
দুষিত বাতাসে আজও শুনতে পাই  অপভ্রম
আর ভগ্ন স্বপ্নদের বুকফাটা আর্তনাদ....
--------++++++--------