আজ আমার এমন লাগছে কেন?
সারাদিন কেটেছে অস্বস্তি আর অস্থিরতায়।
বাসন্তী বিকেল,রাঙা গোধূলি,ঝিঁ ঝিঁ মুখরিত সুন্দর সন্ধ্যাটাও
বিবর্ণ-ফ্যাকাসে লাগছে আজ।
প্রতিবেশী প্রমীলা মাসী শাঁখের আওয়াজে যেন আজ
ঢেলে দিয়েছে মরণ বিষ।
চারপাশের চির চেনা দেয়ালটাকে মনে হচ্ছে গুয়েতেমালা কারাগার।
আমি যেন মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী, কালো রুমালে বাঁধা আমার চোখ,
ক্ষণিক বাদেই কার্যকর হতে যাচ্ছে আমার মৃত্যুদন্ড।
আমি এক ছুটে বাইরে বেরিয়ে এলাম।
মাতৃময় প্রকৃতির হাতে হৃদয় নিংড়ানো চাপা কষ্ট গুলোকে
জমা রাখবো বলে।
রূপালী চাঁদের স্নিগ্ধ আভায় বুক ভরে শ্বাস নেব বলে....
কিন্তু এ কী!ভরা ফাগুনের পূর্ণিমা রাত তবু যেন আধমরা চাঁদ।
রাত বাড়ার সাথে সাথে বুকের ব্যথাটা প্রকট হচ্ছে ক্রমশ।


একবার এমনি এক মোহময় দিনে বসন্ত বিলাসে বেরিয়েছিলাম আমি।
একটা মোহনীয় ষোড়শী সরোবরে নাইতে নেমে মরণ সুখে মেতেছিলাম যেন।
ওটা নাকি প্রেম সরোবর.....
একটা জলজ জোঁক কখনযে গিলে ফেলেছি অজ্ঞাতে,কে জানে!
জোঁকটা আপন মনে বিষদাঁত ফুটিয়ে ছিল আমার হৃৎপিন্ডের ডান অলিন্দে।
ইচ্ছেমত রক্ত চুষেছে বছরের পর বছর।
সেই রক্ত শূণ্যতায় আমার মৃত্যু হয়েছে  দেড় যুগ আগে।
আর সেই জোঁকটা আমার রক্তে সর্বাঙ্গ রাঙিয়ে বসত বেঁধেছ ভিন সরোবর
আজ আমার মৃত্যু বার্ষিকী  আর জোঁকটার আজ ফুলসজ্জা।
দিনটাকে খুব উপভোগ করে আমার অশরীরী আত্মা আর আত্মাহীন শরীর।
যে ছিল আমার মরণের নিয়ামক, তার প্রতি আমার কেন এতো অনুরাগ?
কিসের এতো ভালবাসা??
---------------------+++++++++++++--------------------