প্রথমটায় দারুণ উচ্ছ্বসিত ছিলাম আমি।
হাসি মুখে গ্রহণ করেছি কতইনা দুঃসাহসিক চ্যালেঞ্জ।
আমি তখনও বুঝতে পারিনি পা রেখেছি মরণ ফাঁদের দ্বার প্রান্তে।
শুধু তোমাকে খুশি করার জন্য রাত জেগে ভৌতিক মুভি দেখে দেখে ভয়কে করেছি জয়।
খেলার দশ থেকে বার নম্বর ধাপে আমি তোমার কথায় কনকনে শীতে শ্মশানে রাত কাটিয়েছি নির্দ্বিধায়।
পনের নম্বর ধাপে ব্লেডে হাত কেটে নীল তিমি আঁকতে বলেছ,আমি আমার বক্ষ বিদীর্ণ করে তোমার ছবি এঁকেছি হৃৎপিন্ডে,শুধু তোমাকে ভালোবাসি বলে।
তুমি তোমার সুললিত কণ্ঠের জাদুতে আমাকে হিপনোসিস করে ফেলেছ,আমি পরিণত হয়েছি তোমার বাধ্যগত জানোয়ারে।
ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ নম্বর ধাপে আমাকে নিয়ে ফোন সেক্স করেছ দীর্ঘদিন, সে কি অকথ্যকথন...
তারপর মোহাক্রান্ত আমার উলঙ্গ  ছবি দেখে খিলখিল হাসিতে ফেটে পড়েছ নগ্ন উল্লাসে.....
ছিঃ ছিঃ, কি নির্লজ্জ-বেহায়া তুমি।
আটত্রিশ থেকে চল্লিশ নম্বর ধাপে আমার সারা গায়ে সুচ ফুটাতে বলেছিলে,আমি সুচে নয় বিষাক্ত তীরের ফলায় এফোঁড় ওফোঁড় করেছি ফেলেছি ফুসফুস আমার, তুমি শুধু আমার হবে বলে....
ইতোমধ্যেই তুমি হাতিয়ে নিয়েছ আমার সমস্ত ব্যক্তিগত গোপন তথ্য।
পঁয়তাল্লিশ নম্বর ধাপের পরে আমি তোমার শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়ে জীবন ভিক্ষা চেয়েছি শতবার,তুমি করোনি।
তোমার কোকিল কণ্ঠের মাদকতা আর গাঢ় ফাউন্ডেশন মেকআপের অন্তরালের তুমি যে আমার সত্যিকারের প্রেমিকা ছিলে না,ছিলে ব্লু হোয়াইলের এ্যাডমিন,সেটা এতো দিনে বুঝেছি আমি।
ততো দিনে তুমি আমাকে এ্যানাসথেসিয়া করে ক্যাটামিন ঢুকিয়ে দিয়েছ আমার সমস্ত শরীরে।
এখন বহুতল দালানের কার্ণিশ বরাবর হেঁটে চলেছি মুক্তি পাগল নির্বোধ আমি।
অদূরেই তোমার সুমিষ্ট আহ্বান, মুক্তি চাও??ঝাঁপ দাও - মুক্তি পাও।
জীবন মরণের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে তোমাকে শেষ অনুরোধ করি,ওগো চৌকস এ্যাডমিন,তোমার বন্ধু তালিকায় অসংখ্য খেলোয়াড় রয়েছে।তাদের সাথেই খেল তোমার প্রাণনাশের নগ্ন খেলা।
তোমার মোহে পড়ে অবহেলা করেছি যাদের,আমি জীবনের বাকিটা সময় সেই সব প্রিয়জনদের সাথেই কাটাতে চাই,আমাকে ক্ষমা কর।আমি মুক্তি চাই,আমাকে মুক্তি দাও....মুক্তি দাও....মুক্তি দাও....
---------------++++++++++++--------------