অবশেষে একটা পরাধীন হৃদয়ের ক্ষরিত  
রক্তনদীতে প্লাবিত হয়ে অর্জিত হল সেই
কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।
জন্মসূত্রে সেটা আমারাই ছিল শত-শতাব্দী কাল।
পৈত্রিক সম্পত্তির স্বাধীন ভূখণ্ডে
ভালই ছিলাম আমি।
হঠাৎই সেখানে শুরু হলো এক হৃদয়খেকো
ভূমিদস্যুর অবৈধ আগ্রাসন।
তার উপর্যুপরি আক্রমণ নিরস্ত্র আমায়
পরাভূত করলো সহজেই।
নিমিষেই জবরদখল হলো আমার
একান্ত নিজের স্বাধীন ভূখণ্ড।
রুদ্ধ হলো হৃৎপিণ্ডের প্রতিটি প্রকোষ্ঠ,
দুর্দান্ত দাপটে দাপিয়ে বেড়ায় সশস্ত্র প্রহরী।
সেখানে পতপত শব্দে বাতাস মাতায়
তার অবৈধ পতাকা।
খর্ব হলো আমার দৃষ্টিশক্তি, চিন্তাশক্তি, শ্রবণশক্তি
এমন কি ছিনিয়ে নেয়া হলো আমার
স্বকীয়তার সমস্ত ইন্দ্রিয়।  
আমি অবরুদ্ধ হয়ে সত্তা হারালাম,
হলাম নিজ ভূমে পরবাসী।


শতবার পতাকা বৈঠক আর কুটনৈতিক
হস্তক্ষেপে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাতেও
যার সুরাহা মেলেনি এতটা বছর।
আজ হয়তো আমার হৃদয়ের রক্তক্ষরণেই ভেসে
গেছে তার  সান্ত্রী, মন্ত্রী, সভাসদ সব।
আজ অলৌকিক ভাবেই মুক্তি পেলাম আমি।
আমার জীবনের অনুভূতি পোড়ানো
এতটা বছর নিঃশেষে  বিভাজ্য করেছ তুমি।
হে দখলদার,
তবুও তোমায় স্যালুট।
তোমার মহানুভবতায় পুনরুদ্ধার হলো
আমার লুণ্ঠিত স্বাধীনতা।
----------+++++++------