প্রশ্ন করি মেঘের কাছে
একটুখানি জল হবে ভাই?
বড়ই তিয়াস, তৃষ্ণা নেভাই তোমার জলে।
যা বলেছ!
জল কোথা পাই?
রাজ্য ভরা তৃষ্ণা যেথায়
তার কাছে কি জল পাওয়া যায়?


তবে যে দেখি পড়ছ ঝরে নিরবধি।
অঝোর ধারায় শহর পাড়ায়,
উছলে উঠে সাগর নদী।
কি আর বলি; সামলে চলি
অনেক কথাই বলতে মানা যায় না জানা,
নিজের চোখে দেখতে যদি.....!
যা দেখেছ জলের মত
বইছে কেবল অবিরত,
ওসব আমার কান্নার জল
তোমরা যাকে বৃষ্টি বলো।
অধিক শোকে কিম্বা দুখে
যখন আমার গতর ঘামে গড়িয়ে নামে
ফোঁটায় ফোঁটায় ফুলের বোঁটায় মুক্তোগুলো,
রৌদ্র এলে বেজায় জ্বলে।
সবাই তাকে শিশির বলে।


হোক না তবু,
রাখাল বালক মেঘের পালক
হঠাত দেখে চমকে ওঠে।
গতর ধুয়ে আকাশ ছুঁয়ে
বেশতো আছ নিজের মত,
ঠিক বলিনি?


মেঘ শুধালো.....
ঐ যে দেখ মেঘের রাশি
খুব যতনে আগুন পুষি বুকের মাঝে।
বজ্র আমার বিদ্যুৎ আমার,
আগলে রাখি আপন করে,
হৃৎপিণ্ডের ভাঁজে ভাঁজে।
শুভ্র ডানায় যতই উড়ি
নিজের মাঝে নিজেই পুড়ি।
কেউ দেখে না দুঃখ আমার
সুখটা দেখে প্রতিজনে,
আমি তবু যাই উড়ে যাই দুঃখ ভুলাই,
সুখ এনে দেই সবার মনে....
-------++++++-------