মেঘবতী
                   - ইয়ামিন বসুনিয়া
***************************                        
মেঘবতী,
ফাগুনের কাঠফাটা রোদ,চৈত্রের দাবদাহে ফেটে চৌচির বুকের জমিন।
বোশেখ-জ্যৈষ্ঠের ভ্যাপসা গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত।তোমার জন্যে অপেক্ষমান আধমরা আমি।
তোমা হতে বর্ষিত প্রেমের প্রতি ফোটা জলে হৃদয়ে প্রেমের সাগর বানাতে চেয়েছিলাম মেঘবতী, তুমি ঝরলে না।


শুধু তুমি নেই বলে আমার তিন ফসলী জমি বিরাণ ভূমিতে পরিণত আজ, উষর-অনুর্বর।
নাব্যতা হারিয়েছে নদী।একদা যেখানে চলতো কলের জাহাজ,চলতো রঙিন পালের নৌকো, আজ তা পরিণত হয়েছে বুনো শেয়ালের অভয়ারণ্যে।


নাই'বা ভেজালে প্রত্যক্ষ,তবে হিমাদ্রীর বরফ গলা জলে নদী হয়ে এসো,ছুঁয়ে যেও উঠোন আমার।
আমি না হয় তোমার জন্য নীলকণ্ঠ পাখি হবো।কোন এক বাঁকে বসে শুধু গলা ভেজাবার প্রত্যয়ে চঞ্চুতে তুলে নেবো ক'ফোটা মাত্র জল,অলক্ষ্যে-অগোচরে......
শুধু সেই অনুমতিটুকু দিও।


যদি তা'ও না পারো তবে যখন আমার নির্বাসিত জীবনের ক্লান্তি লগ্নে বহে কালবোশেখির দমকা হাওয়া।
অন্তত তখন এক মুঠো প্রেম হয়ে ঝমঝম রবে ঝরে পড়ো আমার আধা ভাঙা টিনের চালে।
আমি খোলা জানালার শার্শি ধরে
"তুমি"পতনের শব্দ শুনবো। জমা জলের বুদবুদে দেখবো তোমার মায়াবী মুখ।
যদি পারো তখন এক ঝাপটা বাতাসে আমার মুখটা ভিজিয়ে দিও,আমি তাতেই খুশি....


কথা ছিল ভরা যৌবনে তুমি অক্টোপাস হবে,আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রাখবে,ভরিয়ে দেবে তরল আলিঙ্গনে।
তোমার আদরের লোভে আমি চাতক হলাম।
যৌবনের প্রথম প্রভাত থেকেই অদ্যাবধি আকাশ পানে চেয়ে আছি তৃষ্ণার্ত আমি।
মেঘের পালকে ভর করে উড়ে যায় নির্জলা মেঘ,দুর্দান্ত গতি।
আমি আজও অপেক্ষমান, এলোনা শুধু আমার মেঘবতী।।
--------------------------------------------