একটা স্বপ্নালু রাত্রির উর্বশী গাত্র চুইয়ে নির্মোহ
জোছনা ঝরায় দ্বাদশ তিথির গর্ভবতী চাঁদ।
যখন সন্ধ্যা পূজার শাঁখ বাজে ঝিঁঝিঁদের মুখে।
জোনাকির আলোয় নীড়ে ফেরার পথ খোঁজে
বিরহিনী কানাকুয়া।
ডানায় বাতাসের আর্দ্রতা শুকায় রাত চোরা পাখি।
অতঃপর সান্ধ্যকালীন কোলাহল শেষে
ধরাতলে নামে শ্মশানের নীরবতা।
তখন কোজাগরী আকাশের সাথে চলে আমার
নির্বাক পত্রালাপ,গণকবরে সমাধিস্থ হয় অগণিত স্বপ্ন।
অন্তঃসারশূন্য বুকের ভেতর অস্ফুট কথার
বুঁদবুঁদ জ্বলন্ত ভাতের হাঁড়ির মত ফোটে অবিরত।
নপুংসক বাক যন্ত্র পুরুষত্ব হারিয়েছে সেই কবে...
অপ্রাপ্ত ভ্রূণর মতো সহসাই কণ্ঠনালীর অতলে
তলায় অপুষ্ট বর্ণদের শব্দ তৈরীর ব্যাকরণ।
এমন মেঘে জলে মাখা এক অস্পৃশ্য ওমে আমি
বুঁদ হয়ে থাকি অহর্নিশ।


প্রিয়তা;
আমার মেঘরঙা ভালোবাসা;
প্রেমের এক চিলতে আকাশে উদিত তোমার
ক্ষণকালীন রামধনুটার বিচ্ছুরিত বর্ণীল বিভা তো
সেই কবেই মিলিয়ে গেছে দিগন্ত সমীপে,
তবু আজও কেন মিলছে না আমাদের নাতিদীর্ঘ
জীবনে প্রেম ও প্রণয়ের সেই সরল সমীকরণ.......?
-------------+++++++---------------