আসলে কি জানিস;
তোর কাছে না আসলে আমি বুঝতেই পারতাম
না যে একটা জীবন এত সুন্দর হতে পারে!
এতটা মধুময় হতে পারে জীবনের প্রতিটি স্তবক।
জীবনকে উপলব্ধি করার সুপ্ত ইন্দিয়গুলো তো
তুই জাগিয়ে তুললি তোর সুনিবিড় শুশ্রূষায়।
সন্ধ্যামালতীর সাথে ঘাস ফড়িঙের সখ্যতা,
কাজলা দীঘির নিটল জলের সাথে
মাছরাঙার পৌরাণিক প্রেমের ইতিহাস
তো অাগে খু্ঁজিনি কখনও!
তোর কাছেই তো অামার প্রেমের হাতেখড়ি,
তার সংজ্ঞাটাও তো তোর কাছেই শেখা।


নারীর চুলের যে একটা বিশেষ গন্ধ থাকে,
সেই গন্ধে থাকে এক মোহনীয় মাদকতা,
তোর আলিঙ্গনেই তা আবিষ্কার করেছি আমি।
তোর উদারতায় পেয়েছি জলজ জোঁকের মত
প্রেয়সীর বুকে লেপ্টে থাকার স্বর্গীয় স্বাদ।
নয়তো অস্থির ঠোঁটযুগলে একটা চুমুর গভীরতা
মাপার কী এমন সাধ্য আমার!
আমাকে সামর্থ্য প্রেমিকে পরিণত করেছে তোর
নেশাতুর চোখ।
তোর ভীরু ঠোঁটের অব্যক্ত অভিব্যক্তি
আর সরু চোখের অনুচ্চারিত আহ্বান  আমাকে
পিষে ফেলে প্রতিনিয়ত।
তুই কখনই হারাবার নোস।
আমি অবলীলায় মিশে যাই তোর অভিন্ন অবয়বে।
যেমন করে তুই মিশে থাকিস আমার স্বত্বায়,
আমার অস্তিত্ব, অনুভূতি আর অভ্যাসে....
-----------++++++++-------