ইবলিশ জ্বীন ছিলো আযাযীল নামে,
ইবাদতে  রত  ছিলো  এই  ধরাধামে,
ছিলো না তো সেসময়ে তার মতো কেউ,
ছিলো না তো ইবাদতে তার ডানেবামে।


ইবাদত  করে  যায়  বহুদিন  ধরে,
বাকি নেই সেজদার জমিনের পরে,
অবশেষে  একদিন  খুশি  হয়ে  রব,
আসমানে নিলো তারে বড় মায়া করে।


জান্নাতে আযাযীল ছিল মহাসুখে,
সতত খোদার নাম ছিল তার  মুখে,
ফেরেস্তা   সকলের  হলে  সরদার,
তখনই অহংবোধ দানা বাঁধে বুকে।


সৃজিত আদমে দিলো জান্নাতে নীড়,
সেজদাতে ফেরেস্তাকূল নত করে শির,
অবিচল  ছিল শুধু  সেই আযাযীল,
মিথ্যে   অহংকারে  যেন  এক  বীর।


সাথেসাথে অভিশাপে হলো নিপতিত,
বিনষ্ট হলো তার নেকি ছিলো যতো,
অহং এর  পরিণতি  হলো  শয়তান,
জান্নাত থেকে তাই হলো বিতাড়িত।


আজও আছে সক্রিয় সেই শয়তান,
স্বার্থের লোভে ধরে ভালোদের ভান,
ঝগড়া বা বিবাদের  সেই  হলো মূল,
তার লাগি ঝরে কতো নিষ্পাপ প্রাণ।


যুগে  যুগে  যারা  হবে তার  অনুগামী,
হোক না সে মহাজ্ঞানী হোক মহা দামী,
গোচর বা অগোচরে তার সাথী সব,
সমূলে সকলে তারা হবে জাহান্নামি।