বিষণ্ণ বিকেলের অলস বেলকনি।
ভাবলেশহীন বসে দেখি দূর দিগন্তে
আকাশের বিশালতা।
দেখি শরতাকাশের শুভ্র মেঘে
গাঙচিলের দুরন্তপনা অবিরাম।
আনমনে ঠোঁট ছুঁয়ে যায় উত্তাপহীন        
চায়ের পেয়ালায় বিষাক্ত হেমলক।


দিনান্তে নিস্তেজ সূর্যটা প্রকৃতির
ললাটে সিঁদুর পরিয়ে আত্মসমর্পণ
করে রাত্রির জঠরে।
প্রহর পেরিয়ে যায়,দিবস ও রাতের
পালাবদল হয় প্রকৃতির নিয়মে।
বুনো সারসের নীড়ে ফেরার পতপত
শব্দে আলোড়িত হয় অন্তঃঅবয়ব।
সব পাখি ঘরে ফেরে, কেবল ফেরে না
আমার বিচলিত অন্তর।
শুভ্রতা;
কথা ছিল আমার শরীর খারাপ
করলে গোলাপী ঠোঁটের স্পর্শে মেপে
দেবে আমার কপালের উষ্ণতা।
কথা ছিল আমার মন খারাপের রাতে
ঝাঁকড়া চুলে বিলি কাটতে কাটতে
রোমিও জুলিয়েটের প্রেমের উপাখ্যান
শোনাবে বিশদ।
আমাদের তো এমন আরও অনেক
কথা ছিল তাইনা?


আজ আমার অনিয়মের জীবনে
তোমার প্রেমময় শাসন আর জ্বরে
পুড়ে যাওয়া শরীরে শুশ্রূষার মায়াবী
হাতজোড়ার বড় বেশি প্রয়োজন ছিল
শুভ্রতা।
অথচ তুমি শাওন রাতের এই মধুক্ষণে
নতুন যুগলে হয়তো করছ প্রেম
ভাগাভাগি, অথবা রয়েছো জোছনা
বিলাসে মত্ত!
যখন আমার পাথর চোখে হিমাদ্রির
ঝর্ণা ধাবমান অবিরত......
---------++++++++---------