গর্ভধারণের ন'মাসের মাথায় এক সমুদ্র রক্তে
গা ভাসিয়ে জন্ম নিল স্বপ্নীল স্বাধীনতা।
কথা ছিল অমানিশার সেই দীঘল রাত্রির শেষ
পূবাকাশে উদিত হবে স্বস্তির সূর্য।
কথা ছিল এক তুমুল বর্ষণে ধুয়ে মুছে নিষ্কলুষ
হবে অত্যাচার আর নৈরাজ্যের বিষাক্ত ক্লেদ।
কথা ছিল নিরসন হবে আজন্ম বিবাদ,
চৈতালি রাতের মেঘমুক্ত আকাশটা প্লাবিত
হবে মেদহীন অবারিত জোছনায়।
কথা ছিল সাম্রাজ্যবাদ ও স্বৈরতন্ত্রের উত্থিত
সর্পিল ফণা থেকে মুক্ত হবে কাঙ্খিত  গণতন্ত্র,
সেই বিদ্বেষহীন গণতন্ত্রের উর্বর ক্ষেতে চাষাবাদ হবে বিশুদ্ধ রাজনীতির পরিপুষ্ট বীজ।
পুলিশের বিশ্বস্ত বন্দুকের নলা দিয়ে বুলেট নয়,
ঝরবে প্রিয়ার হাতের প্রথম গোলাপ।
বারুদের বদলে বাতাস মাতাবে সুরভিত কর্পূর।


হায় শৃঙ্খলিত স্বাধীনতা...
তোমার ছত্র ছায়ায় আটপৌরে পাগলী
মোমেনাও স্বামী ছাড়া মা হয়।
পরিত্যক্ত শৌচাগারে নিক্ষিপ্ত সদ্যপ্রসূত
জাতকের লাশ থাকে কুকুরের দখলে।
প্রত্যহ দুষিত বাতাশে মেশে বিচার বর্জিত
ধর্ষিতার কাতর চিৎকার।
অজ্ঞাত লাশের পসরা জমে যত্রতত্র।
স্মৃতিসৌধের বেদিতে আজ মুলোর দামে
রক্ত বিক্রি হয় কেজির ওজনে।


হায় ক্ষুধার্ত মানচিত্র ..!
আঁতুর ঘরেই তো গোগ্রাসে গিলেছ ত্রিশ লক্ষ
সন্তানের আপাদমস্তক,
পান করেছ ফুটন্ত  রুধির,উদর কি পুড়ে নি তবু?
আর কত রক্ত চাই তোমার?
আর কবেইবা মিটবে তোমার আজন্ম পিয়াসা?
তবে কি তুমিই আমার পিতার উদার বক্ষের
নিভৃত নিলয়ে লালিত কাঙ্খিত  স্বাধীনতা??
----------++++++-----------