তোমার প্রত্যাবর্তনের শেষ স্টপেজটায়
কেন বসে থাকি অহেতুক?
দক্ষিণমুখী হয়ে আজও চেয়ে থাকি
কিসের প্রতীক্ষায়?
রাত-বিরাতে ফিরতি ট্রেনের হুইসেল শুনে
কেন কেঁপে উঠি বারংবার?
প্লাটফর্মের লিচুতলায় রাখা লোহার বেঞ্চিটার
সাথে কিসের এত সখ্যতা আমার?
যেখানে বসে অবলীলায় গত হলো একটা
জীবনের অগণিত বাহারি বসন্ত,
বিহ্বলতায় অতীত হয়ে গেলো বেহিসাবি
সোনালী সময়।


অবশেষে নিশ্চিত হলাম,
তুমি আজ ভিনগ্রহের অস্পৃশ্য বাসিন্দা।
প্রত্যাশাপ্রদীপের ম্রিয়মান শিখাটুকুও
নিভে গেল আজ।
আধমরা সম্পর্কের শেকড় ছিড়ে অমরত্ব পেলো
তোমার পবিত্র আত্মা।
পাথর চোখের রক্তবৃষ্টিতে উত্তাল হলো
লোহিত সাগর।
অনুর্বর বুকের অনাবাদি ধূসর জমিন থেকে
মুছে ফেললে আজ চারু পায়ের অবশিষ্ট
পদাঙ্ক তোমার।


আমিও অবরুদ্ধ স্বেচ্ছানির্বাসনে।
ভুলে যেতে চাই স্বপ্নিল সুখের বিষাক্ত বুঁদবুঁদ।
ভুলে যেতে চাই তোমার মেঘলা চুলের
উন্মাটাল গন্ধ,
ভরাট ঠোঁটের উষ্ণতা আর বুকের ভাঁজে
লুকিয়ে রাখা সমস্ত ভালোবাসা।
উপড়ে ফেলতে চাই তোমার প্রীতিময় স্মৃতির
ফলন্ত বিষবৃক্ষ।
আর দেখতে চাইনা সেই ছায়া অথবা কায়া
স্বপ্নে ও সজ্ঞানে।
    ------++++------