(রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় রচিত)  


কদ্দিন হয় দেখোঁ না মানিক তোর ওই মায়ার মুখ,
যে মুখ দেখি ভুলি আছোঁ মুই পাহাড় সমান দুখ্।
সংসার ছাড়ি বিদেশী মাটিত্ যেদিন আসুনু কয়া,
ঘুরিফিরি খালি মনে পড়ে তোর মানিক মুখের ময়া।
অসুস্থ মাও, দুকনা ছওয়া, সোগারে চোখোত পানি,
তোর ভালোবাসা,আদর-সোহাগ পাছপাকে ধরে টানি।
সাগাই-সোদর  রক্তেরধন, ছাড়িয়া ময়ার বাড়ি,
আল্লার হাতোত সঁফি দিয়া মুই বিদ্যাশ জমানু পাড়ি।
বিদ্যাশ আসিয়া বাড়িল্ বিপদ দালালের হাতোত যেয়া,
যেকিনা আছিলো টাকাকড়ি মোর তামানে ফ্যালানু খেয়া।
খোঁজাখুঁজি করি ম্যালাদিন পরে যদিওবা পানু কাজ,
বাড়িএলা মোক খাটেয়া মারে সকাল দুপোর সাঁঝ।
ক'বাদিন বাদে নাদেয়  বেতন,  অসুখে থাকুনু পড়ি,
কাহো নাই মোর তুলি দিবে পানি, যাওঁ যদি মুই মরি।
কায় কয় বাহে বিদেশী মাটিত  সুখ আর খালি সুখ?
সোগায় হামার টাকাকোণা দ্যাখে,দেখেনাতো কাহ দুখ্।
হামারে টাকাত সচল থাকে অর্থনীতির চাকা,
হামা গড়ে দেই জাতির কপাল,হামারে কপাল ফাঁকা।
তায় কওঁ বাহে নাযেয়া বিদ্যাশ দ্যাশোতে কামাই করো,
মরণ যদি আসিযায় কারো,মায়ের কোলাত্ মরো।
-------------++++++----------
পুনশ্চঃ মানিক,কবি দেয়া তার প্রিয়তমা স্ত্রীর আদরের ডাক নাম।