বিশাল পাহাড় দাঁড়াইয়া আছে আকাশের বুক ছুঁয়ে,
গতর বহিয়া বুনোলতা তার পরিতেছে যেন নুয়ে।
রূপে যৌবনে টলমল তার সহাস্য বদন সুখে,
কভু কি পাহাড় ভাবিয়াছে নিজে দাঁড়িয়েছে কার বুকে?
বক্ষে আমার শিলা রাশি দিয়ে করিয়াছ নিজেকে  উঁচু,
আমি মৃত্তিকা,সহিয়াছি সব,বলিনিতো কভু কিছু।


নদীর দু'ধারে নগর-বন্দর গড়িয়াছ জনপদ।
মাথার উপরে বসতি গড়িয়া রহিয়াছ নিরাপদ।
রূপসী ঝর্ণা, বহতা নদী, রহিয়াছে সমুদ্র  যত,
সকলি আমার নিষ্পাপ বুক করিয়াছে চিড়িয়া ক্ষত।
রুধির সম ধাবমান জল ফিরে নাকো কভু পিছু,
আমি মৃত্তিকা,সহিয়াছি সব,বলিনিতো কভু কিছু।


আমি মাটি,মোর অঙ্গ কাটি করিয়াছ মিছে খাল,
স্বার্থে তোমার কতো আয়োজনে করিয়াছ পুড়িয়া লাল।
মোর পোড়া গায়ে সভ্যতা গড়িয়া দেখিয়াছ সুখের মুখ,
ভাব নাই কভু কী যাতনা দহে,কতটা এ বুকে দুখ।
তবু মোর অবদান স্মরিয়া কখনো কর নাই শির নিচু,
আমি মৃত্তিকা,সহিয়াছি সব,বলিনিতো কভু কিছু।


মোর বুকে পিঠে কর্ষণ কর,জ্বালা দাও নিদারুণ,
মোর পত্র দলে,ফলে আর ফুলে ক্ষুধা কর নিবারণ।
পেশীর জোরে প্রকৃতির রীতি ভাঙ্গিয়াছ সবই মিলে,
আমারই গর্ভে শেষ পরিণতি ভুলিয়াছ অবলীলে।
সকলের সুখে হৃদয় দুয়ার রাখিয়াছি মুক্ত আমি,
আমি মৃত্তিকা,যাতনা সবার সহে যাব দিবাযামী।।
---------------++++++++------------