দোষটা ছিল একান্তই আমার।
সমুদ্র বিলাসীমনের পিপাসা মেটাতেই
নগ্নপদে সৈকতে হেঁটেছি অনেকটা পথ।
কল্লোলিত জলের ঝংকারে বিমোহিত
হয়েছি, জলধিকে ভালোবেসে দিবা অবসানে  
নতজানু সূর্যের অত্মোৎসর্গ দেখেছি অপলক।
খেয়ালি মনের অভিলাষে আঁজলা ভর্তি
ঝিনুকে পকেট পুরেছি অহেতুক,
আর বুকের বন্দরে সযত্নে রেখেছি গভীর
সমুদ্র থেকে নেয়া একটা ধোঁয়ার কুণ্ডলী।
তাকে বাম অলিন্দে রেখেছি এতোটা বছর
গভীর শুশ্রূষায়।
আগলে রেখেছি হৃৎপিণ্ডের উত্তাপে।
আজ তার ভরা যৌবন।
শেষাংশে সে স্বরূপে আবির্ভূত হলো
সর্বনাশিনী রূপে।
এককালের নিষ্ক্রিয় ধোঁয়ার কুণ্ডলী ক্রমশ
ঘনীভূত হয়ে পরিণত বয়সে হলো গভীর নিম্নচাপ।
যার প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল, চলে দশ নম্বর
মহাবিপদ সংকেত।
সাইরেন বাজে, দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করে
ভয়ার্ত নাবিক।
অতঃপর ;
শুরু হলো জলোচ্ছ্বাসের ধ্বংসযজ্ঞ,
ফুঁসে ওঠা সমুদ্রের গগনবিদারী  গর্জন,
আর পাহাড় সমান উন্মাতাল ঢেউয়ের তাণ্ডব  
মুহুর্তেই নিশ্চিহ্ন করে দিলো হৃদয়ের
সাজানো বন্দর।
একদা যে বন্দর ছিল তার অভয় আশ্রম,
আজ তা সমুদ্র গর্ভে সমূলে নিমজ্জিত।
যে বুকের গহীনওমে প্রেম ও পুষ্পে তার
তিলতিল বেড়ে ওঠা,
আজ তার সলীল সমাধি হলো অকষ্মাৎ।
থেমে গেছে ঝড়,
থামেনি আমার উদ্দেশ্যহীন ভেসে চলা।
ভাটার টানে আজও নিরুদ্দেশ আমার
প্রাণহীন নিথর শবদেহ।
------++++++-------