====নাহিবার কালে====
           কলমে-ইয়াসিন সেপাই
             #################
গ্রাম্য বধূ নাহিবার কালে,জল ছিটিয়ে নদীর পাড়ে অঙ্গ ভিজায়ে -
রোদেলা বালুচরে চিকমিকিয়ে ওঠে ,অঙ্গে তার মুক্তমালা ঝরে।
অঙ্গে তার ভিজে অঙ্গাবরণ,জল তরঙ্গে ঢঙে সুর-- তোলে তটে ' বসে,
কেশ গুছি শীতল জলে,শ্রাবণের বর্ষণ ধারা হয়ে- বয়ে চলে নোনা বালির চরে।


সুন্দরী ঠোঁটে জলের কণা, আদরে চুম্বন করে, শত বেদনার সুরে...
কাজল কালি প্রবাহিনী ছোঁয়ায় ধুয়ে মুছে যায়,, জল স্রোতে যেন অশ্রু ঝরিয়ে,
অঙ্গ তার থর্থরিয়ে যৌবনের ঢেউ তোলে,বালুচরে কামুক ঢঙে বসে,
সুন্দরী রূপসী বধূ,মানায় তোকে খুব,, মসলিন স্যাঁতো শাড়িতে নদীর পাড়ে,,    


নদী আজ শান্ত হয়ে,তাকিয়ে থাকে গ্রাম্য বধূর নাহিবার কালে রূপে মহিমাতে,,
রূপসী বধূ আবর্তন দেওয়া অঙ্গ,জল স্রোতে-
মাছলি হয়ে জল ছিটায় আপন মনে,
নদীর বুকে নীল আকাশ উঁকি দেয়,শান্ত মেঘেরা- আরসি তলে দলে দলে,,
সুন্দরী বধূ  ভিজে অবয়ব যেন,দিনমানে চন্দ্রগ্রহণ বলুচরে জড়াইয়ে।।


শুন্য নদীর তটে পাগল হয়ে, ছুটে চলে বালুকনা দিক বেদিকে,
কেউ বুঝি আসবে এখুনি শান্ত নদীর কুলে অঙ্গ ভিজিয়ে নিতে,,
নদীর সুখ কয়জনা বোঝে,আমার বুকে জলে মিশে আদরে বেসে,,
বধূরা সব কলস কাঁকে,জলে নেমে শাড়ি  ভিজিয়ে আদর করে এসে।।


ওগো বধূ এসো ফিরে বারে বারে,এই নদীর তটে নাহিবার তরে,
নদীর তটে বালুচর যত অপেক্ষায় তোমারে পদতলের ছায়ার অপেক্ষাতে,
নদীর নিশ্চল উদ নেচে ওঠে আনন্দে খুশিতে উর্মির তালে তালে,
সবুজ দোলায় মাথা, তোমার আগমনীর পদধ্বনি শুনতে পেয়ে।।
________________________
রচনাকাল--১৮/১০/২০২০/