কবিতা-চেনা পথ অচেনা মানুষ
কলমঃ-ইয়াসিন সেপাই


চেনা পথ অচেনা মানুষ,অন্ত ঘাতে ভুলতে বসেছো চেনা মানুষের মুখ.?
শত চেষ্টার মাঝে পিছন ফিরে দেখছো,চিন্তে পারোনি সেই চেনা মানুষ,,
স্মৃতির পাতা উল্টে বারে বারে মেলাতে পারোনি কোন কিছুতেই অনেকটা জুত,
অনেক কষ্টের মাঝে, সুখের রচনা লিখে ছিলে একটু একটু করে দিনরাতে--
রচনা কাব্য রাখা ছিল অনেক যত্নে, গ্লাভসে মোড়া আলমারির তাকে, স্মৃতির অলংকার হিসাবে,  
একদিন দুই হাতে নিয়ে খুলে দেখা, ব্ল্মীক তান্ডবে পাতা হীন মলাট পড়ে আছে যেমন তেমনে।


ঝাপসা চোখের পাতা চেপে,দমকা নিঃশ্বাস ফেলে, হেঁতড়ে খুঁজেছ একটু হ্যালান পেতে,
চোখের সামনে ঘোলাটে সব,একি সেই নিয়তির তীর, ধেয়ে বিধলো বুকেতেই.?
না কি চেনা মানুষের স্বার্থের লোভে,বিকৃত মনে, ছুড়ে দিলো তীর চিরচারিত প্রথাতেই.?
ভাবনী কখনো চেনা পথে,অচেনা হবে,চেনা মানুষের মুখগুলো দিন শেষে.!
ভুল তো করোনি, ভুল হয়েছে আশার জীবন স্বপ্ন দিয়ে সাজাতে গিয়ে,
শয়নে সজাগ থেকেছো অনেক স্বপ্ন নিয়ে, বাস্তবে রূপ পাবে ভেবেছিলে,।


বাস্তবের গায়ে রঙের ছিটে লেগেছে, যে স্বপ্ন তুমি দেখেছিলে,বিশ্বাসের ঘরে তুলি নির্ভরকরে,,
অপছন্দের রঙে আঁকছে দেখো,নিজে হাতে চিত্রকার একগুঁয়ে জেদি মনোভাবে,
সময় যে কথা বলে, পিছন থেকে বুঝলে, অনেকটা সময় পেরিয়ে এসে,
অতীত জানান দেয় শেষ বিকেলে,ভুলের মাশুল গুনতে হয়,যখন বিশ্বাস নামটা যায় হারিয়ে,
পাবেনা ফিরে অতীত জীবন,গড়ে নাও নিজ হাতে অল্প সময়ে মনের জোরে,,
হারিয়েছ অনেক কিছু, ভেবোনা ছিলোনা তোমার কিছু,পরিস্থিতি বলছে তোমায় কিছু।


জীবন তরী ছুটেছিলো মাল্লা ভায়ের জিম্মাদারিতে, মাঝ দরিয়ায় রেখে গেল ঠিকানা না দিয়ে.!
বৈঠা হীন তরী, এখন একা.., জুয়ার এসে হয়ত নিয়ে যাবে ঠিকানায়, একদিন মনের গন্তব্যে,
পূরণ হবে অনেক আশার মাঝে নিরাশা সঙ্গ করে, সফল তোমায় হতেই হবে,এক নিষ্ঠাবান মনে,
মানুষ চেনা ভুল কিছু নয়,বিশ্বাসঘাতক চিনতে করেছিলে ভুল,
জীবন যদি নিজের ভাবো, চিনতে শেখো, মানুষের মুখে লুকিয়ে আছে অনেক রূপ।।
বৈঠা হীন তরী নিয়ে অনেক দূর যাওয়া যায়, কথাটা কিন্তু একদম নয় ভুল।।
_____রচনাকাল- ১৭/০৮/২০২১/
পশ্চিমবঙ্গ/কলকাতা/হাওড়া