কবিতাঃ- চৈত্রের প্রখর রোদ।
            কলঃ- ইয়াসিন সেপাই#
              ==১৭/০৩/২০২০==
   ◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆
চৈত্রের তপ্ত মাটির ধুল উড়িয়ে চলেছে পথে, গাঁয়ের কুমারী মেয়ে,
প্রখর রোদে তেপান্তরের ধু-ধু করা তপ্ততমা ফাঁকা মাঠে,
সতেজ সোনালী রোদে ক্লান্তির মিছিলে,
শুভ্র পায়রা ঝকঝকে বিছানো ডানা মেলে, উড়ছে আকাশে,।


সচ্ছ নীল আকাশে দেখা যায় বুনো হাঁসের দল,ও সোনালী ডানার চিলে!
আমের মুকুল লেবুর ফুলে ভরে গেছে প্রতিটি বৃন্তে বৃন্তেতে,
ভ্রমরের দল খেলছে ডানা মেলে ফুলে ফুলে,
তরলমোতি উড়ছে ইচ্ছে ডানার ভর করে,
অনন্ত গোধূলির চৈত্রের শেষ বিকেলে।


চৈত্রের গরম মাখা রোদে কুমারীর নাকের নোলক তর তর করে কাঁপিছে,
দেখা যায় নোলোকের ভালোবাসা জমেছে কিশোরীর ঠোঁটের ফাঁকেতে।
কিশোরীর শরীরে আবার যৌবন আবাদ হয়!
যেন সাগরের তীরে আছড়ে পড়া জলের উচ্ছ্বাস হয়ে!


গৃহপ্রাঙ্গনে শাশ্বত সেই চেনা রূপ,বাংলার ঘরে -ঘরে
এখন শূন্য ধানের গোলা তবুও বেতের থালা ভরা বিন্নি ধানের খৈ হাতে,
তাল পাতার পাখার বাতাসে, কুমারীর উড়ন্ত কেশ ধূসর রঙে,
মাটির পাত্রে যেন কুমারী ছোঁয়া কুয়ার ঠান্ডা জল তৃষ্ণা মেটাতে।


অরণ্যের সবুজে সবুজে কত পাখিরা ঘর বেঁধেছে ডালের ফাঁকেতে!
ওগো গাঁয়ের মেয়ে চলো না যাই দুজনে ঘর বাঁধি পাখিদের মত করে,
থাকবো দুজনে চৈত্রের তপ্ত রোদে পাতার ছায়ায় তলে,
নীল আকাশে সোনালী চিলের ডানা বিছানো দেখবো দুজনে নয়ন ভরে।
       ___________________
     রচনাকাল--চৈত্র-২/১৪২৬/