---মাতৃত্বের সীমারেখা---
               -------------
     কলমঃ-- ইয়াসিন সেপাই#
             04/09/2020
ওগো...তুমি নারী, ওগো...তুমি গৃহিণী, নেই কোন তোমার শ্বয়ি গৃহি,
জন্ম থেকে ছিলে তুমি পিতৃ গৃহি 'বার এসেছে পৃষ্ঠ ছেড়ে আসার বারী,
তুমি এখন পেয়েছ শশুরালয়ে থাকার এক-খানি নতুন বাড়ি----


তবুও মনে হয় পাওনি তুমি ওগো নারী নিজের সেই চেনা বাড়ি,
পিতৃ কুল ছেড়ে এসে, ঘর-সংসার সাজিয়ে-- ছিলে তুমি,
কত আসায় কষ্টের ভার, সোয়ে-ছিলে দশ-মাস দশ-দিন তুমি,
সন্তান জন্ম দিয়ে আসায় বুক বাঁধিলে, হবে এবার নিজের বাড়ি-----


তোমার ছেলে বড়ো হলো সমাজে প্রতিষ্ঠিত মন চায়'---বৌমা ঘরে আনি..
ছেলের বউ ঘরে আনিলে অলোক সজ্জায়- সজ্জিত উঠোন ও ঘর রঙিনি,,
উঠোন ভরা আল্পনায়,আলতা মাখা পায়ে বধূ- আনিলে, সাজিয়ে বেনারসি,
বরণ ডালা সাজিয়ে,উলুধ্বিনির উল্লাসে, বধূ বরণ করে ঘরে তুললে তুমি-----


ছেলে বৌমা নাতি নাতনি নিয়ে, কাটবে এবার জীবন সুখের,,কত আসতেই,
ওগো নারী সময় যে বলে দেয়, এ-ঘরও নয় তোমার জনম-দুঃখিনী..!
আবার-ও.! চিনিয়ে দিতে হয় বৌমাকে এটা তোমার ঘর,শ্বাশতপ্রথা জানি..!


ছেলে এখন তোমার অনেক বড়,হয়না জায়গা মায়ের ওই ঘরে, একটু খানি,
জানান দেয় ছেলে মাকে,তোমার ঘর রাখা আছে, পাঁচিল ঘেরা বৃদ্ধাশ্রমে এক-খানি.!
শেষে তুমি পেয়েছ নারী একটি নিজের বাড়ি, বৃদ্ধাশ্রমের চার দেওয়ালের অশ্রু বন্দি..!


খোলা জানালার গরাদ ফাঁকে, গড়িয়ে পড়া চোখের জল বলতে থাকে,,খোকা তুই... সাবধানে যাস বাড়ি.!!
শত কষ্টের চোখের পানির ভেজা বুকে,ছেলের তরে জায়গা রাখে মা..জননী,
ওগো জনম-দুঃখিনী  নারী তুমি হতভাগিনী...!
জগৎ যে কত নিষ্ঠুর জানো না মা..তুমি জগৎ- জননী মমতাময়ী...!