শিরোনাম- #মনের_বোঝা//
কলমঃ- #ইয়াসিন_সেপাই//
_________
জীবনে প্রথম চলা যে পথে,সেই পথে পেয়েছি খামে বোঝাই ঝুড়ি,দুই হাতে ধরিয়া বহন করিয়া,
ঝোড়ো হওয়ায় ঝোঁকে খুলিয়াছে মোড়ক,শুকনো- পাতার মত উড়েছে চিরকুট, অসহায় ছুটে চলিছে দিক বেদিক দিসে হারা হয়ে।


লেখা ছিল খামের ভিতর নিয়তি, বুঝিনি তো আগে ফাগুন ঝরা পাতার মত সময় আসবে শেষ বেলাতে!
ধু ধু তেপান্তরে লু- প্রতিবিম্বে চোখের সামনে ভেঁসে উঠিয়াছিলো,অতীত বেলার জীবনের কিছু শব্দ চিত্র, দোল খেয়ে,।


সব হারিয়েছি বোঝার আগে,, তৃষ্ণার্ত হয়ে---- মরীচিকার পিছনে ধাওয়া করে বুঝেছি, মরুর প্রান্তে শেষ বেলাতে,
ছুটিয়াছি মরুর পথ ধরে আঁধার রাতে, ভোরের শেষে,তপ্ত বালি ছিল আমার যৌবন বেলাতে,।


ছিলকা দুই পায়ে নিয়ে ছুটিয়াছি,মনের ঘরে প্রদীপ রাখা ছিল আসার আলো জ্বালব বলে, ছুটেছি ক্ষত নিয়ে অনেকটা পথ,জীবনের অনেকটা দিন পেরিয়ে,
আসার আলো নিভে গেলো, জীবনের একটু বেঁচে থাকার চাহিদা, মিথ্যেটাই সত্য হলো মরীচিকার ফাঁদে পড়ে,।


উড়ন্ত ঘুড়ি বিদীর্ণ হলো,লাটাইয়ের সুতো শেষ হবার আগেই, কিছু নোলা অনুধ্যায় আনমনে,
জীবনটাকে আগলে রেখেছিলাম কচুপাতার মাঝে, যেমনটি থাকে এক ফোঁটা জল টাল মাটালে.!
শেষে এক বিন্দু জল গড়িয়ে পড়ল, তপ্ত মাটিতে হাজার কণার জন্ম নিয়ে মৃত্তিকার পিপাসা মেটাতে।


ভাবিয়াছি অনেক কিছু,জীবনে অনুচিন্তন আরত্ত ফেরত হিসাবে, পেয়েছি অন্তিমলগ্নে হৃদয় চুর্নকরে।
যদি বলি পাইনি কিছু, হাঁ পেয়েছি অনেক কিছু, যেটা ছিল নির্ঘুম স্বপ্নে দুই চোখ খোলার আগে,


জীবনটা জলের মত স্বচ্ছ ভেবেছিলাম, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থেকে,
এক দমকা হওয়ায় ভেঙেদিলো,নিমেষে চূর্ণবিচূর্ণ করে, মিশে গেল সব, যেমন ফেলে আসা পায়ের ছাপ বালুচরে।
শত টুকরো কাঁচ তুলেছি দুই হাতে,নিজেকে আবার দেখবো বলে,ক্ষত হয়ে ঝরেছে রক্ত বিন্দু, বোঝাতে পারিনি কিছুতেই ক্ষত হওয়া মনের মনকে।


আবার আসিব ফিরে জেদি মনোভাব নিয়ে চেরাপুঞ্জি থেকে এক ফালি মেঘ হাতে নিয়ে ছুটিয়াছি মরু প্রান্তে, মরীচিকার দম্ভ ভেঙে দিতে,
পেরেছি অনেক কিছু,দেখেছে দুই চোখ মেলে মরু বুকে সবুজে ফুল ফোটে আগন্তুকে,
হয়েছে অপেক্ষার দিন শেষ,যেমন মেটে চাতকের স্রাবন মেঘের বারি-তে।।


_______রচনাকাল- ১৭/১২/২০২১
পশ্চিমবঙ্গ/কলকাতা/হাওড়া//