#নারী_আমি_সব_পারি
______________★★★_______________
কলমে- ইয়াসিন সেপাই/
___________________________________
গোল পাতার ছাউনির জীর্ণ কুঠিরে,প্রকান্ড কালো মেঘ এসে,কালবৈশাখী ঝড়ে ভেঙে দিলো সুখের সাজানো সংসার.!
জীবনের পাশে থাকা ছায়া...কেড়ে নিল বিধাতার নিয়মে,সোহাগের মৃত্যু...একটু বাঁচার আসা.!
পতিহীন-তা মানে এই সমাজে,একটি পরজীবী-- গুলমলতা হয়ে শুধু বেঁচে থাকা,।


বিতৃষ্ণ প্রকাশে নিরর্থক ভেবে, কেড়ে নেবে কিছু মানুষে....বেঁচে থাকার অধিকার..!
বিধবা কপালে লিখন নিয়ে,,বেঁচে থাকা শুধু, এ- জগতে, সবার চোখে কলঙ্ক ও অপবাদ.!
সাদা থান শাড়িতে জানবে সবাই,বলবে তখন..স্বামী হীনতা এক অভাগা,অশৌচ নারী তুমি আজ.!
শুভক্ষণে থাকবে বাধা,আঙুল তুলবে অশুভ ইঙ্গিতে, কুঁচিত চোখে দেখবে...বলবে বিধবা.!


নিয়তির কি লিখন,সবাই বলবে স্বামী খেয়েছে এই বয়সে,অলুক্ষুনে তকমা দেব যে-জার.!
মনেতে বাধা,চলার পথে বাধা,সমাজ বলবে,তুমি বিধবা, অত কিসের ধড়াচূড়া.!
বিধবার বেঁচে থাকার নেই কোন অধিকার,জানান দেয় আজও পূর্বপুরুষের অনুদারতা,
জীবনের দিন গুনতে,গুনতে,হলাম শেষে স্বামী হারা, দুই সন্তানের শুধু,অবলা চোখে চেয়ে থাকা..!


স্বামী হীনতা কপালে লেখা ছিল,দুই সন্তানের বাবা ডাক, না শুনতে পাওয়ার যন্ত্রনা.!
বলোনা হে খোদা,কি দোষ ছিল আমারে,বাবা হারা হয়ে দিন গুনছে সন্তান,পথের ধারে ওরা.?
পুনরর্পণ যাই হোক,বাঁচতে হবে আমায়,অন্ধকার সমাজ ভেদ করে,মাথা উচুকরে এবার,,
আমি ত মেয়ে,হাঁ..সব পারি,যেমন এনেছিল ঝাঁসির রানী,মাতঙ্গিনী স্বাধীনতা ছিনিয়ে।


ভেঙে দেব সব কুসঙ্গস্কার,এই অন্ধকার সমাজ হতে, জলন্ত প্রদীপ নিয়ে হাতে।
হাঁ... আমি নারী,আমি সব পারি,প্রদীপের শিখায় কাজল কালি ভূষন করি,
ললাটে চন্দনের টিপ আমিও দিতে পারি,আমি ত.. নারী..ভূষণ আমার চিরচারিতা প্রথা,
সব বাধা বিপত্তি পিছনে রেখে,সমাজকে আনবো অন্ধকার হতে আলোয় টেনে।


বর্ণন..না-মোরে বেঁচে থাকা আত্মা,ওগো নারী,তুমি পারবে না..সব কুসঙ্গস্কার ছুড়ে ফেলে দিতে.?
নারী তোমার গর্ভে জন্ম পুরুষ,ঋণী সব পুরুষ,মাতৃ স্নেহ মমতার এক ফোটা দুগ্ধের কাছে জানি,
প্রসব কালে পাঁজর ভাঙার যন্ত্রনা,শোধ হয়না পৃথিবীর কোন যন্ত্রণার বিনিময়ি।
নারী তুমি মা...বিধবা হও,সধবা হও,তুমি ত...সেই জনম জননি-আবার পুরুষের জীবনসঙ্গিনী।।


____________রচনাকাল- ২১/০১/২০২১