গ্রীষ্মের দাহ ঝাঁঝালো রৌদ্রে
মাটিতে ফুরিনু বীজ,
নব্বই দিনে আহার জুটিবে
দুই মোড়লের - এক  নিজ।


বাপ, মা ,বৌ আছে দুই ছাওয়াল
তাঁহাদের ও দায় মোর,
এই এক ভাগে কেমনে মিটিবে
ভেবে রাত হয় ভোর।


দুই হাতে করি খায় ছ - পেট তবু
দুঃখের আও কিযে বলি,
ল্যাদা পোলাডার কি ব্যামোয় যেনো
শুখায়েছে দেহ কলি।


মাটির সঞ্চয় ভাঙ্গিয়া করিনু
বৈদ্য দিয়া সেবা,
ছাড়িয়া যাইবে যাদুধন মোর
তাহা কি জানিতো কেবা?


প্যাটের ভোখে করি দিন পার
তার চেয়ে শোক বেশি,
প্যাট শুখালেও কিবা আসি যায়
মনের শোকে নাশি।


সেদিন ধরিনু মোড়লের হাত পাও
কহিলাম দুঃখে আছি,
আবাদ হয় নাই মোটেও ভালো
এই একে নাহি বাঁচি।


তিন দিন ধরি জোটেনি আহার
উনুনে চড়েনি হাড়ি,
সংসারে মোর বিরাজ করিছে
কস্ট নামের গাড়ি।


মোড়ল সাহেব নারাজ হইয়া
রাগে করিয়া চীৎকার,
গরীব এই অভাগা চাষীরে
দিল,আছে যতো ধিক্কার।


গোলাভরা ধান ও "শ" বিঘা জমি
আরো কতো শওকত,
তবুও মোড়লের বড্ড অভাব
থাকিতেও ভবিষ্যৎ!


খালি একমুঠো আহারের দাবি
আর নেই দাবি কিছু-তে,
পোলাও - কোরমা বিলাশী খাদ্য
নেই গ্রীষ্মের লিচু-তে।


গায়ে ছেঁড়া জামা পায়ে নেই চটি
কিইবা এসে যায় তাতে,
উদরে কেবলই শান্তি মিলে
শানকি ভর্তি ভাতে।


দু - মূঠো ভাত জোগাড় করিতে
রক্ত করিয়া জল,
পুবের বেলা পশ্চিমে  ঠেলিয়া
মাটি করি শু- শ্যামল।