দুপুর বেলার সূর্য অবশেষে অস্ত যায়
দিবসের শেষ লালীমাও দিগন্তে হারায়
মেহমানদারি শেষে মেজবান বিদায় জানায়
চলে যাবো সকলেই বেলা কিংবা অবেলায়।


হাসি-কান্নার মিলিত কলরব হয়তো আর হবে না
ক্বালা ক্বালার মধুর গূঞ্জন হয়তো শ্রুত হবে না
একের সুখে হাসি কিংবা কাঁদার সুযোগ আর হবে না
সম্মিলিত বিতর্ক-গল্পের দৃশ্য হয়তো দেখা হবে না।


দিবস-রজনী কাটিয়েছি কত তোমাদের সাথে
হেসেছি-চলেছি সকলেই একসাথে রাজপথে
মসজিদ পানে ছুটেছি সকলেই সাঁঝ-প্রভাতে
দীপ্ত শপথে কণ্ঠ মিলিয়েছি;রেখেছি হাত হাতে।


কেমন আছিস শরীর-মন ভালো তো?  বলবেনা আর কেউ
সময়ের অপারগতায় শত ব্যস্ততায় পাশে দাঁড়াবেনা কেউ
উচ্ছল চেহারায় হৃদয়ের গভীরতায় কথা বলবেনা আর কেউ
অসুস্থতায় কিংবা মনের যাতনায় খোঁজ নিবেনা কেউ।


একসাথে কত চলেছি মোরা চলেছি একসাথে কত
হায়! হায় আজ ভীড় করেছে স্মৃতিরা শত শত
কষ্ট কত দিয়েছি হায় ভুল করেছি কত
মাফ চাই ক্ষমা চাই পড়বে মনে যেখানে-যত।


কষ্টের কথা মনে হয় যদি রেখোনা মনে দুঃখ
দুয়াতে মোরে করিও স্বরণ হয়তো মনে পাবে সুখ
স্মৃতিরা যদি মনে হয় কভু ভেসে উঠে আমার মুখ
যেনো বয়ে যায় ঝর্ণা ধারা,ভিজে যায় যেনো চোখ।


জীবন তরঙ্গে হয়তো আমি দোল খাবো অবিরত
সুখেই আমার কাটবে জীবন হাসি-কান্না হবে মিশ্রিত
যেনো হয়ে যায় সুখের জীবন আমার মনের মত
মুক্তি যেনো পেয়ে যাই আমি ওপারের ঘাট যত।


সোনালী সকালে রোদেলা দুপুরে কিংবা সাঁঝের বেলা
অভাগার কথা যদি মনে হয় স্মৃতিরা দেয় দোলা
যদি মনে হয় হাসির স্মৃতি অথবা একসাথে পথচলা
মিনতি জানাই করি আবদার আমাকে যাবেনা ভুলা।।


জামেয়া দ্বীনিয়া,মৌলভীবাজার
১৫.৫.১৪  শুক্রবার