প্রভাতের সূর্যালোকে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে যে মুখ গুলি
আবাসনহীন পথে পড়ে থাকে
যেন নির্বাক বিদ্যুৎ খুঁটি
অচল ঘড়ির মত থেমে যায় ছোটাছুটি।
কেউ থাকেনা ভাবার সে আমার ভাই,
চোখে মুখে ক্লান্তি চঞ্চলা ডাস্টবিনের কাছে মিলে ঠাঁই
এই নির্মম স্বার্থ লালিত সমাজ তারে দিয়েছে ছুটি
অমিয় ভোজ সমান খুশি পেয়ে বাসি পোড়া ছিদ্র রুটি।
অথচ রং ধনু সাজে সাজানো টেবিল-
স্বাদের ঘি ভাত ঠেলে ফেলে রেখে চলে যায়
যার জন্য এত আয়োজন সে যে বিন্দু মাত্র চায়।
জ্বলবে সভ্যতার প্রদীপ থাকুক না তিগ্ম তাহার বন্দুক
বলো বলো রাজার গোলা বলো প্রজাদের সিন্ধুক
সে ধনীর দুলাল তার সমগ্র সুখের অধিকার
এ অনৌচিত্য আইন আর মানিব না ধারিব না ধার।
পথের ধূলায় পা রেখে যায় পায়ের চিহ্ন
কেউ হাসে কেউ বা ব্যাথায় জরাজীর্ণ,
কাগজের ফুল হাতে ছোটে কোথা ফোটে এই ফুল
সোনার হরিণ নয় খুঁজছিল সে একটি ভাঙ্গা পুতুল।
কুড়িয়ে পাওয়া সুতীর চাদর দেখে ভাবে পেয়েছি সহস্র
এই যেন হবে এবার ঈদের বস্ত্র
হে দয়াল মহীয়ান।
ঈদের প্রথম চাঁদের মিনতি শুনিলে না বৃত্তবান
এ মহা দান স্রষ্টার ছোঁয়াব সকল নামাজ রােযার
সব যাবে জলে যদি পথশিশু থাকে অনাহার।