আমার একটা বাঁশি ছিল সে এক পোড়া নলের বাঁশি
বাঁশি প্রিয় বন্ধু ছিল ফুলবাড়ীয়ার দাসী
আমি যেই সুর তুলি ভাই নিঝুম রাতের বেলা
নদীর জলে উঠল মেতে ঢেউ কচুরির খেলা।
আমার একজন মনের মানুষ দূর গাঁয়ে থাকত
মেঘ কালো তার যমজ ছায়ায় আমায় শুধু ডাকত
কখন সে শান্ত নিবিড় আবার অত্যাচারী
ইচ্ছে হলেই নাড়ায় হিয়া পাতায় কঠিন আরি।
তার সাথে আমার হয় না কথা যাই না তাদের বাড়ী,
হয়তো কেউ জানে না
বাঁশিটি কেন সুর তোলে না
দগ্ধ দগ্ধ গন্ধ
বন্ধুটি আর আসে না প্রবেশ দ্বার বন্ধ।
তুমি ও তোমরা তোমাদের মাঝেতে আমি কে
আমি জঘণ্য নগণ্য, নিস্কাম প্রেম দিয়েছি যে
আমি নই উষ্ণতার কোন রমণীর ধমনী কার্পেট
উজ্জল তনু নয় রংধনু এ যেন জ্বলন্ত সিগারেট
সকলে সাজো অবুঝ
বোঝ বোঝ সকল যত কর নিষ্ঠুর খেলা
নিজেকে পোড়াতেও পারি না তাকেও পুড়ি না
বুকে বাড়ে তত জ্বালা
আমার একটা নৌকা ছিল ঘুণ যে ধরেছে তার
যাকে শোনাই করুণ কিচ্ছা সেই থাকেন না আর
আমার একটা বাঁশি ছিল সে এক পোড়া নলের বাঁশি
বাঁশি প্রিয় বন্ধু ছিল ফুলবাড়ীয়ার দাসী।