আমি নীড় হারা পাখি পেয়েছি প্রকৃতির বন্ধন
জানিতে চাও কি দখিনা হাওয়ার গুঞ্জন?
মুকুলের সুবাসিক্ত পরশে নিদ্রার আলিঙ্গন।
           কুহু কুহু স্বরে উঠি বনরানী ডাকি    
                  তখন মাতাল হয়ে পরে থাকি
                  যখন শিশির দুব্বার চটাতে,
আলো আর জল টলমল চাঁদ আসিল মাটিতে।
আপন বিলাস ছাড়ি এপথে, কন্ঠে উঠিল নব গান
পাতায় ধূলার খই পথরাঙা ঐ বনফুলের টান
রক্তে রাঙিয়ে আখি বসন্ত দেখি অপলোক
শোন বিশ্ব লোক।
দেখেছি দিবাগত কাল কী?
উড়ন্ত ঢেউ বহিছে ফেনার পালকি,
                  হাসির ফিনিক ফুলেরা রাখিছে ধরি
         দুলায়ে শাখায় শাখায় আলো ছায়ার তরী।
মৃত্যুর প্রভাতে কাতর শিশির বিন্দু গুলি
কলাপাতার বেরি জেগেছিল ঘোমটা খুলি
আমি নির্ঘুম ভাবান্তর নির্জনে মেশা,
সাপের ঘুঙ্গুর বাজনার নেশা।
ঝোঁপঝারে ঝিলমিল শেয়ালের চোখ
কাক ভালিব স্বজন আমায় কোকিল বলে লোক।
          এইত সুখ অপলক দেখি দীপ্ত নিশির রুপ-
                    ক্লান্ত চোখে জোনাক আলোর দুপ।