ওপারে ঋষি পাড়া
এপারে ঘানি ঘর
মাঝখানে তার কুমার নদী
ধূ-ধূ বালুচর ।
ফোটা ফুলে মধু ঘানিয়া বঁধু
জল লয়ে যায় ঘটে
ঘোমটা মাথায় নগ্ন পায়ে
ধীরে ধীরে যায় হেটে ।
বালু চরে আসি
চখা চখি বসি
চোখে চোখে কয় কথা
লজ্জিত চখি মুদিয়া আঁখি
নীরবে নেওয়ায় মাথা ।
তাই দেখে হেসে
মইরলা আর খঁরশোলা এসে
মঙ্গঁল ঘট বসায়
জারি সারি গেয়ে
মাঝি মল্লারা দাঁড় বেয়ে যায় ।
এপারের বটতলায়
চড়কের মেলায়
ওপারের লোক দলে দলে আসে
হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান
একই মোহনায় ভাষে ।
পুঁজা পার্বনে
ওপারের বঁধু
এপারে পাঠায়
হরেক রকম
মুড়ি মুড়কি মিঠাই
বাদ যায় না
এপারের বঁধুও
ঈদের ফিরনি পোলাও
ওপারে পাঠায় ।
যুগ যুগ ধরে
আছি মোরা মিলে মিশে
কেহ যেন নাহি কারো পর
ধর্ম যার যার
উৎসব মোদের সবার ।