=========কলম=========
চোখে দেখিনি, মুভি বা ইতিহাসে জানি,
পাঁচ হাজার বছর আগে সৃষ্ট কলমখানি।।
মানব সভ্যতার আদি লগ্নে মানুষ ভাবে,
আমাদের আজকের কথা প্রজন্ম পাবে কিভাবে?
শুরু হলো কল্পনা সৃষ্টি হলো কলম ,
ছুঁচালো পাথর দিয়ে যাত্রা প্রথম।
পাথর রূপ নেয় বাঁশ বা কাঠির কঞ্চিতে,
ছাই দিয়ে বানানো কালি আসে কিছু রচিতে।
একসময় কঞ্চি পরে বাদ আসে পাখির পালক,
কালিতে ডুবিয়ে লেখা, দিচ্ছে আর একটু ঝলক।
থেমে নেই মানুষ বানালো কলম, দিয়ে নিব,
কালিতে চুবিয়ে জ্বালালো অগ্রগতির প্রদীপ।
এরপর কলমের জন্ম, সাথে নিয়ে উদর,
কালি খেয়ে কলম, লিখে গর গর।
এ'কলমের নাম ছিল ঝরনা বা ফাউন্টেনপেন,
স্থান দিলো  কলমেরে পকেটে, সব জেন্টেলম্যান।
কলম মাঝেমধ্যে করতো পকেটে বিরূপ আচরণ,
বাহকের পকেটে করিতো কালি নিঃসরণ।
পকেটের নিচে জামা চুষে কালি হতো কালো,
মনে পড়ে এ-ধরনের দেখেছি করে ভালো।
কিছু কাল পর ঝরণা কলম সংখ্যায় কমে,
বের হলো শীশ কলম শিশ থাকতো কালি জমে।
আরো এগিয়ে কলম রূপ নেয় বল পেনে,
রকমারি বল পেনের বাজারে লোকজন কিনে।
ব্যবহারিক ব্যাখ্যায় কলম বিনা চলতোনা সময়,
কেমন জানি এখন কলম ব্যবহারে এসেছে ক্ষয়।
অতীতে লেখ্যরূপ দিতে কলমই ছিল উপায়,
বিজ্ঞানের কল্যাণে কলম ছাড়াও লেখা যায়।
মোবাইল কম্পিউটার কলমকে দেয় বিশ্রাম,
তড়িৎ গতিতে লিখে প্রিন্টার সেরে দেয় কাম।
তবু কলম ছাড়া চলবে না, ইহা অবিনশ্বর,
কলমে না লিখিলেও, কলম ছাড়া নয় স্বাক্ষর।


-জাহিদ চৌধুরী
জুন ০৯, ২০২১