কাজ, খাওয়া, নাওয়া আর ঘুম
বেশতো আছি,
মিছেমিছি দুর্ভাবনা কেন?
এখনতো বেঁচে থাকার ধুম।


তারপর একদিন,
তোষকের তলাটায়
খুঁজছিলাম কিছু একটা,
পেলাম কাগজ, একটা রঙিন।


বহুদিন আগে,
যাবার বেলায় হাতে,
দিয়ে বলেছিলে তুমি,
সেদিন হয়ত আর হবেনা দেখা
যদি দেখার স্বাদ জাগে।


দাম্ভিকতায়! নয়ত অহংকারে
পড়া হয়নি তোমার শেষ লেখা।
আজ সেই রঙিন কাগজ
আমার হাতে,
রঙিন কালিতে তাতে আঁকা-
'আর কিছুটা দিন
বাঁচতে চাই আমি,
শুধু তোমার সাথে'।


শিশুকালের পর কখনো
চোখের পাতা ভিজেনি।
আজ কেন শিরশির করছে,
না, না আমি কাঁদছি না।
আমি তো কাঁদতে জানি না।
কিন্তু বুঝতে পারছি
কেউ একজন কাঁদছে,
আমার ভেতর, আমিত্ব?
ধীরে ধীরে তবে কি
তোমার কাছেই হারছি।।


তুমি যেও না লক্ষ্মীটি,
বিশ্বাস করো, আমি
সত্যি আমি আসছি,
তুমি যে ঠিকানাটা দিয়েছিলে
একটা কোণা ছিঁড়ে গেছে
তবু আমি বুঝে নিয়েছি।


কিন্তু,
এও সত্যি...
বড় দেরি হয়ে গেছে।
কেন তোমার দেয়া ঠিকানায়
তুমি নেই।
তোমার পরিজনেরা তো সবাই আছে
তুমি সত্যি চলে গেলে
অজানায়।
ফিরে এস,
হাতটা রাখ আবার হাতে
সত্যি বলছি আজ
'আর কিছুটা দিন
বাঁচতে চাই আমি,
শুধু তোমার সাথে'।



সস্তাপুর, নারায়ণগঞ্জ।
১৯ ডিসেম্বর, ২০১৩ ঈসায়ী।