বালকটা, চাইল লাটিম খেলতে-
তোড় জোর আয়োজন লাটিম যোগাতে।
পাঁচ, দশ, পনের নয়; একটিই লাটিম চাই
সলতেটা পেঁচিয়ে বালক এই ছাড়ল সাই।
বিদ্ধ হয়ে ধরণীর বুকে, উঠে এল লাটিমের হাল-
ঘুরতে ঘুরতে বৃত্তাকারে চলে লাটিমের চাল।
বন-বন শোঁ-শোঁ; তেজস্বী লাটিম খাচ্ছে পাঁক,
সময়ের সাথে শ্লথ হয়ে আসছে তারই ডাক।
বালকটা তখন খপ করে ধরে লাটিমের ঘাড়
খেলা তোমার হয়েছে শেষ, মুঠোয় আসো আবার।
*** *** *** *** *** *** ***
প্রভু মোর চাইল বলে হলাম সৃষ্টি বেশ
পিতার দশ মিনিট, মাতার দশ মাস; ধাইয়ের দ্বারা প্রবেশ।
দশটা, পাঁচটা, পনেরটা নয় একটা স্তন চাই
বিনামুল্যে চাহিদা পূরণে কি জোরালো আবেদন ভাই।
সেয়ানা হয়েই আপন ঘরে শিখি আপন চাল
সামর্থ্য যখন বেশ হয়েছে ধরেছি ঘরের হাল।
কর্মে পুষ্ট, ধর্মে শিষ্ট তেজস্বী যুবার বাহু
দিন ফুরিয়ে ক্ষণে ক্ষণে ক্রমে শীতল হয়েছে রাহু।
এখন শুধু অপেক্ষা হতে প্রভুর ধরা
সকল খেলা শেষ হয়েছে, বাকী শুধু ‘ফেরা’।


সৈয়দপুর, নারায়ণগঞ্জ।
২৯ এপ্রিল, ২০১৩ ঈসায়ী।