গুরু!
তুমি এক মহৎ জন
সহজ সরল একটি প্রাণ,
সজতনে বেড়ে ওঠা
হৃদয়ের কাননে নিষ্পাপ তরু।


গুরু!
তুমি এক উন্নত শির
তোমার কাছে হেরেছে বীর,
সত্য তব হয়েছে জাহির
শেখাতে করলে শুরু।


গুরু!
তুমি আমার প্রেরনা
কলমের কালি হয়েছে ঝরনা,
জীবনের কবিতা আবার পড়না
তোমার ব্যবহারে মনটা উড়ু উড়ু!


গুরু!
তুমি আমার দুই নয়ন
তুমি আমার প্রিয়জন-
গভীর রাতে সুখের স্বপন
তোমার জন্য আমি লড়াকু।


গুরু!
তুমি যে কত বড়
থামিয়ে দিয়েছ কত ঝড়,
ঘরকে করেছ সুন্দর বড়
দুঃখ হওনি কারো।


গুরু!
দেখনা তুমি চক্ষু মেলে
দেখা যায় মনের চক্ষু খুলে,
তোমার উৎসাহে পরিপূর্ণ আজ
আমার হৃদয়ের সকল মেরু।


গুরু!
জীবনটা তোমার নয়ত সরু
তার চলা সকল পানে,
তার গতি বাঁধা না মানে
চলবে সে যে আরও।


গুরু!
অসাধ্য নাই তোমার কাছে
সবই তুমি পারো (মানুষ যা যা পারে)
চাই শুধু তোমার জয়
চাইনা কারো কাছে হারো।


গুরু!
কষ্ট দিল যে তোমারে
উপকার করলে তুমি তারও,
তুমি তো তুচ্ছ কেউ নও
তুমি অনেক বড়।


গুরু!
দূর আকাশের বুকে
শুন্যের মাঝে ভেসে,
বিশাল এক নক্ষত্র হয়ে
জ্বলবে তুমি আরও।


গুরু!
হয়ত কোনদিন যাব দূরে
পার হব কত ধুসর মরু,
আমার ঐ অশান্ত জীবনে
তখনও থাকবে আমার গুরু।


গুরু!
যদিও তুমি থাক দূরে
আছ তুমি আমার গভীরে,
স্মরি প্রতিক্ষণ আমি তোমারে
কবিতা লিখি তোমার তরে।
বলি তোমায় আমার কথা
তুমি নও কোন ঊষর মরু-
তুমি শুধু আমার গুরু
তুমি আমার প্রিয় গুরু-
তুমি আমার মহান গুরু!


গুরু! গুরু! গুরু!
আমার হৃদয়ের কাননে
জীবনের সুন্দর বাগানে
সজতনে বেড়ে ওঠা
তুমি এক বিশাল তরু!


গুরু!
জানিনা কেন মনে হয়
জীবনটা তোমার হবে কি সুখময়,
হবে, হবেই হবে, ইনশাআল্লাহ্‌
যদি তোমার এ শিষ্য বেঁচে রয়।
তোমার জন্য দোয়া করি
সুখী যেন হও জীবন ভরি;
হয়তবা থাকিব দূরে
তবু সুখে দুঃখে সাহায্য করব তোমারি
ভুলো...না...আমায়...
শুধু----
মনে রেখ আমারি।।


সস্তাপুর, নারায়ণগঞ্জ।
২০ জুন, ২০০৮ ঈসায়ী।


বিঃ দ্রঃ কবিতাটিতে গতানুগতিক গুরু অর্থে যা বুঝায় তা নয়। এখানে গুরু কবির একজন খুবই কাছের মানুষ ও প্রিয় ব্যক্তি যে কিনা প্রেরণা দেয়, উৎসাহ দেয় আর এই প্রেরণা আর উৎসাহ কবিকে সাহায্য করে সুন্দর ও সঠিক পথে চলতে। যদিও সে কবির বন্ধু, তবুও কবি আনমনেই ভেবে যায় 'তুই ই তো আমার প্রকৃত গুরু'।