ছোট একটা চারা গাছ
ধীরে ধীরে হয় বড়
মাটিকে আঁকড়ে ধরে
থামায় কত ঝড়।
সেখান থেকে তুলে রস
পাতায় রান্না করে,
সূর্যের আলো উঠলে পরে
খাদ্য তৈরি করে।
ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা-খরা
সবই সহ্য করে-
স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে
যায়না কোথাও নড়ে।
এইতো জীবন কাঁটায় ভরা
কষ্টে ভরা কাঁদা মাটির পথ,
কাঁদার মাঝে ডুবে গেলে
লক্ষ্যটা হয় রদ।
প্রাণশক্তি আছে যার, চারা গাছটির মত
থামাতে পারে না
দুর্গম পথও
চেষ্টা করেও শত।


আমি তো তাদেরই দলে
প্রাণশক্তিতে ভরা আমার মন;
চাইব যা পাবই তা
ছাড়ব না তা কখন।
এ শিক্ষা পেয়েছি আমি
আমার গুরুর কাছে,
থাকে যদিও অনেক দূরে
সে আছে
আমার জয়, আমার ক্ষয়,
আমার শিক্ষা, রক্ত মাংসে গড়া
এ বুকেরই মাঝে।


সস্তাপুর, নারায়ণগঞ্জ ৷
১৭ জুন, ২০০৯ ঈসায়ী৷


বিঃ দ্রঃ কবিতাটিতে গতানুগতিক গুরু অর্থে যা বুঝায় তা নয়। এখানে গুরু কবির একজন খুবই কাছের মানুষ ও প্রিয় ব্যক্তি যে কিনা প্রেরণা দেয়, উৎসাহ দেয় আর এই প্রেরণা আর উৎসাহ কবিকে সাহায্য করে সুন্দর ও সঠিক পথে চলতে। যদিও সে কবির বন্ধু, তবুও কবি আনমনেই ভেবে যায় 'তুই ই তো আমার প্রকৃত গুরু'।