প্রশ্ন হয়তবা থাকতে পারে
বুকের ভিতর গভীর নীড়ে,
ঘুরে ফিরে আসে বার বার
প্রশ্ন থেকেই যায় ফিরে।

দিবে কি উত্তর যে জানে
যার সুর বাজে প্রাণে,
সুরেলা, সুরেলা কোকিলা; একলা
শুনি বসে এককোণে,
খেয়ালী-হেঁয়ালির আনমনে।
*** *** ***


আজিকে বসে নীরব ক্ষণে
আসল কেন হৃদয় কোণে
চাওয়া পাওয়ার মধ্যি খানে
আসবে কি এ ক্ষুদ্র জীবনে?
হয়তবা ভাবা যায় সহজে
বাস্তব কঠিন ঢুকেনি মগজে
তালহীন মাতালের বুকে
প্রশ্নটা জেগেছে ধুকে ধুকে,
উত্তরটা মিলেনি আজ অবধি
তার কোন কথায় কাজে।
জানা নেই বুঝেছে কি সে
কেন আসে মনের ভিতর
যখন আমি একলা বসে,
বলিনি হয়ত; জানবে কিসে?


তুবু প্রশ্ন জাগে মনে
এতটুকুও বুঝেনি সে আমারে,
যার কারণে জেগেছি রাত
স্বপ্ন দেখেছি নিয়ে যারে।
সকলি দিয়েছি তার পায়ে
মাখিনি ক্লান্তি একটু গায়ে
মুখে ফোটেনি কালো রেখা
মুখটা দেখলাম-
হৃদয়টা তার দিল না দেখা।


তারপরও প্রশ্ন জাগে আজি
যার জন্যে ধরেছি বাজি
আমার সব দিতেও রাজী
যার কারণে হলাম পাঁজি
সেকি গিয়েছে অজানা কোথাও
পেলাম না তাকে গিয়ে সেথাও
কাঁটা কখন বিঁধল পায়ে,
তারচেয়ে ব্যাথা ছিল গায়ে
গরম ছিল গায়ের রক্ত
খুঁজলাম তাকে বড়ই পোক্ত
মিলেনি দেখা, হলাম ত্যাক্ত
তাকে পাওয়া এতই শক্ত।
কিন্তু প্রশ্নটা ছিল খুবই সহজ
বিয়োজন ছিল না, ছিল যোগজ
বুঝেছিল প্রশ্নটা তার মগজ,
চোখে তার পড়েনি কোন কঠিন রেখা
শুধু চোখটাই দেখলাম-
স্বপ্ন আমার হলনা আঁকা।


প্রশ্ন তবু জাগে মনে
হৃৎপিণ্ডটার ঠিক মধ্যখানে
ছুরির আঘাত হয়েছে যেখানে,
সে কি এটা এখনো জানে?
জানতে পারবে কভু সে কি;
স্বপ্ন আমি যেথায় আঁকি
স্বর্ণলতায় সোনার পাখি,
ধরার আগেই দিল ফাঁকি।
স্বপ্নটার আমার হল এ কি!
ছিল ওটা দুঃস্বপ্ন নাকি?
দশ বছর দশমাস ধরে যেটা দেখি
এক নিমেষেই গেল চুকি।
কথাতো ছিল না এমন হবার
চোখের ভাষায় বলত সে বারবার
যাচ্ছে সে অনেক দূরে
ফিরে আসবে সে যে আবার।
সে ভাষা গুলো ছিল না বেশি
তবু চোখের জলে ঝরল খুশী
অশ্রু ঝরল তার চোখেও
মুখে দিল মিষ্টি হাসি দেখা,
সেই হাসিটাই দেখেছি-
জানিনা, দেখব কি না সুখের রেখা।
*** *** ***


রাত্রির আঁধার শেষে
সাদা আলো উঠে ভেসে
কালো আঁধার দূর হয়ে
সূর্যটা দেখা দেয় শেষে।
প্রশ্নটা আমার জেগেছে সে ভাবে
রাত্রির আঁধার নামে যেভাবে,
উত্তর অবশ্যই পাবো শেষে
ভোরের সূর্য যেভাবে উঠে ভেসে।


সস্তাপুর, নারায়ণগঞ্জ।
০৬ জানুয়ারি, ২০১১ ঈসায়ী।