গরম


জাহিদ হোসেন রনজু।
-------------------------------®


তপ্ত পৃথিবী, তপ্ত দেহ
চলছে যে হা-হুতাশ, বাদ নাই কেহ।
আওয়াজটি শুনছি, 'মরে গেলাম ওরে,
কোথা গেলে পাওয়া যাবে প্রাণটাকে ধড়ে।'
ঘরেতে 'এসি' নাই, ভয়ানক গরম
মনে হয় খুলি সব ফেলে লাজ শরম।
যতটুকু খোলা যায় ততটুকু খুলে
মেঝেতে শুয়ে পড়ি সব কিছু ভুলে।
'সিলিংয়ের ফ্যান'টা ছেড়ে দিয়ে জোরে
ছটফট করি শুধু 'ওহ্' 'অাহ্' করে।
ঘুম তো আসে না গরমের চোটে
একটু আসলেও ফের যায় ছুটে।
সমস্যা ভয়ানক দেখা দেয় তখন
হুটহাট বিদ্যুৎ চলে যায় যখন।
ভ্যাপসা গরমে জ্বলে হাত পা
ঘামে ভিজে জবজব সারা দেহ গা।


দুঃসহ বের হওয়া ঘর থেকে খুব
ঝলসায় চোখ দেখে রৌদ্রের রূপ।
আগুনে ভেজে যেন সূর্যকে কেউ
ছেড়ে দিছে ছড়াতে গরমের ঢেউ।
কাঠফাটা রৌদ্রে হাটা বড় দায়
অসহ্য কষ্টে প্রাণ যায় যায়।
মনে মনে সকলে ডাকে 'আল্লা
দাও না বৃষ্টি এক পশলা।'


দিন দিন বেড়ে চলে সূর্যের তাপ
আগুনের হল্কায় বাড়ে শোক-তাপ।


------------------------------
২৭ এপ্রিল,২০১৬, ঢাকা