মেয়েটি


জাহিদ হোসেন রনজু।


----------------------------------®


মেয়েটি জানে সে সুন্দরী
ভাবখানা তার যেন বন-ময়ূরী।


তাই শত ময়ূরের পেখম দেখে
ভ্রুক্ষেপ করে না, যায় হেঁটে বেঁকে।
মাঝে মাঝে যদিও আড় চোখে চায়
সাথে সাথে ঘুরে মুখ বড় অবহেলায়।


মেয়েটি জানে সে সুন্দরী
ভাবখানা তার যেন হংস-পরী।


টিকালো নাক আর মরাল গ্রীবা
কুঁচকানো থাকে তা রাত্রী-দিবা।
সিটকানো ভঙ্গিটা নাকে ধরে রেখে
কে এলো কে গেল হেলা ভরে দেখে।
মাঝে মাঝে যদিও আড় চোখে চায়
আশাহত মুখগুলো দেখে মজা পায়।


মেয়েটি জানে সে সুন্দরী
ভাবখানা যেন সে আকাশ-ঘুড়ি।


ঘন মেঘ কেশ তার কৃষ্ণ কালো
ঝড় তুলে হৃদয়ে চমকায় আলো।
বাতাসে উড়ায়ে কেশ সে হাঁটে যখন
জানে সে সুন্দরী বুঝা যায় তখন।
মাঝে মাঝে যদিও চায় হেলা ভরে
দেখে না কয়জনা মরে সেই ঝড়ে।


মেয়েটি জানে সে সুন্দরী
ভাবখানা যেন সে জল-পরী।


ডাগর হরিণ চোখে কাজল দিয়ে
যুবাদের মনে যায় ঢেউ জাগিয়ে।
সে ঢেউয়ে স্নান করে সে হুড়-মুড়ি
সাঁতার কেটে যায় পাতালপুরী
আচানক যদিও মাথা তুলে চায়
ডুবে গেল কত মন খুঁজে সে কি পায়?


শুনো তবে আমি ভাই  চুপি চুপি বলি
এ কথা কাউকে দিও নাকো বলি-
মেয়েটি আসলে খুবই সুন্দরী
আমিও যে মনে মনে তার পিছে ঘুরি।


-------------------------------------
৬ মে, ২০১৬, ধামরাই, ঢাকা।