মৃত্যু
জাহিদ হোসেন রনজু


-------------------------------------------®


দিনের শেষে সূর্য ডুবে আঁধার এলো নেমে
এমন করেই একদিন আমার জীবন যাবে থেমে।
এত দিনের কত শত মধুর প্রীতির বাঁধন,
ছেড়ে যাবো কোন অজানায় থাকবে না কেউ আপন।
মাটির ঘরের অন্ধকারে থাকতে হবে পড়ে,
ভাবতে যেয়েই শিউরে উঠি মনে কাঁপন ধরে।
সকল কিছুই হারিয়ে যাবে আমার ভুবন থেকে
কেমন করে থাকবো বলো আঁধার দিয়ে ঢেকে।
থাকবে না কেউ আশেপাশে আমার চারিধারে
থাকবে না সেই প্রিয়তমাও ভালবাসি যারে।
জীবন ভরে স্নেহ মায়ায় জড়িয়ে ছিলাম যাদের
আঁধার ঘরে পাবো না আর খুঁজেও আমি তাদের।
থাকবে না কেউ প্রতিক্ষায় মোর শহর কিংবা গ্রামে
ফিরতে তাড়া থাকবে না মোর আমার আপন ধামে।
রাখবে না কেউ শোয়ার জন্য বিছিয়ে রঙিন চাদর,
করবে না আর প্রিয়া আমায় প্রাণ জুড়ানো আদর।


ফিরতে দেরি করছে কেন কলেজ থেকে মেয়ে?
সাঁঝ হয়ে যায় ছেলে কোথায় খেলছে দেখ যেয়ে?
ঐ দেখো না, না খেয়ে ফের ঘুমিয়ে গেলো ছেলে,
ঐ যে তোমার মেয়ে দেখো অল্প একটু খেলে।
আশকারাটা পেয়ে তোমার হচ্ছে ওরা বাদর,
শাসন করার নাম করো না, দেও যে শুধু আদর।
বলবে না আর আমায় এসব তাদের মা যে ডেকে,
কেমন করে জানবো এসব আঁধার ঘরে থেকে।


দেখবো না আর ফুল বনানী হাজার রঙের পাখি
জ্যোৎস্না ভরা আকাশ হলেও মেলবো না আর আঁখি।
সাঁঝের বেলার সূর্য ডোবা ভোরের বেলার আলো,
দেখবো না আর এসব কিছু থাকবে শুধু কালো।


এই পৃথিবীর সকল চাওয়া, সকল পাওয়ার মাঝে,
থাকবে না তো আমার কিছু লাগবো না আর কাজে।


কি ভয়ঙ্কর শুণ্যতা আর অসীম আঁধার নিয়ে,
থাকতে হবে যুগযুগান্তর মাটির ঘরে গিয়ে।
পোকা-মাকড়, কীট-পতঙ্গ খাবে আমার দেহ,
অসাড় হয়ে রইবো পড়ে, দেখবে না তা কেহ।


এমন করেই যাবো মিশে মাটির সাথে শেষে,
এমন করেই জীবন আমার মৃত্যু নিবে এসে।


-----------------------------------------------
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ঢাকা।