অপেক্ষার আড্ডা


জাহিদ হোসেন রনজু
--------------------®


বিদ্যালয়, 'প্রাইভেট'
কোচিংয়ের মোড়ে,
আজকাল জমে আড্ডা
বেশ কলেবরে।


ছেলে-মেয়ে সকলের
পড়াতে যখন,
মায়েদের আড্ডাটাও
জমে যে তখন।


কত কি যে কথা কয়
কত কি যে বলে,
হেসে হেসে কখনোবা
নয়নের জলে।


ভিতর বাহির যত
সুখ-দুঃখ কথা,
অবিরল চলে শুধু
তার মালা গাথা-


কে কখন কিভাবে যে
ঘর সামলায়,
কিভাবে কাটে যে দিন
কত ঝামেলায়।


কার ছেলে পড়ে নাকো
মেয়েটা ঘুমায়,
কার মেয়ে খায় কম
ছেলেটি জ্বালায়।


কার কার ছেলে মেয়ে
সারা দিন ধরে,
মোবাইল, ফেসবুকে
থাকে শুধু পরে।


কার কার ছেলে মেয়ে
লক্ষ্মীটি যে বেশ,
ঝামেলা করে না নাকো
পড়ে তো অশেষ।


কার কিসে শখ বেশী
কার কিসে কম,
কার স্বামী রাগী বেশ
কার বা নরম।


কার স্বামী কি করে
কত কড়ি আয়,
অপেক্ষার আড্ডাতেও
সেটা জানা যায়।


কেউ বলেন সত্যিটা
কেহ চেপে যায়,
কেহ থাকে চুপচাপ
কেহ বা  বাড়ায়।


কার আছে ফ্লাট বাড়ী
কত তার দাম,
বলে কেউ সুখি হয়
ছুটে কারো ঘাম।


এখানেও চলে রোজ
রূপ চর্চ্চা শত,
জমিয়ে চলে এথায়
পরচর্চ্চা যত।


কার কে বাড়িওয়ালা
কেবা প্রতিবেশী,
তাদেরও গুণকীর্তি
হয় পাশাপাশি।


রান্না-বান্নার কথাই
খুব বেশি বলে,
নতুন রিসেপি শিখে
বাহাদুরি চলে।


খাবারও রেধে আনে
কেহ বা আবার,
কোথাও বা প্লান করে
আনে সে খাবার।


কারো কারো মাঝে হয়
বন্ধুত্ব অপার,
কারো কারো মনে জ্বলে
ঈর্ষা তো আবার।


এখানেই এসে কেহ
পায় প্রাণ শক্তি,
কষ্ট সব করে ভাগ
চায় কেউ মুক্তি।


সন্তানের মঙ্গলের
অপেক্ষাটা শেষে,
মায়েরাই এই আড্ডা
গড়ে মিলেমিশে।
--------------------------
৬ জুন,২০১৬, মিরপুর, ঢাকা