ভাল হলে পা পত্র লিখিস


জাহিদ হোসেন রনজু।


-----------------------------------------®


কই রে গোপাল?
কোথায় রে তুই?
চোখে দেখি না,
কোথাকার পা কোথায় যে থুই।


এই তো মাসী
এথায় আছি।
এসো এসো
কাছে বসো।
এবার বলো
তা কেমন আছো?


তা আর থাকা
জানটা রাখা
কোনভাবে দেহের মাঝে।
বুড়ো বয়সে যেমন থাকে।
তা আছিস কেমন?
কেমন আছে তোর শরীর ও মন?


কি আর কমু শরীরের কথা
দেখা দিছে পায়ে ব্যথা।
এবার বলো তা কেন এলে?
কি মনে করে সাত সকালে?


তেমন কিছু না,
শুধু একটি পত্র লেখা।
তুই তো জানিস
তোর দাদা ক্ষিতিস
থাকে আবার অনেক দূরে
কবিতাডাঙার ভক্তপুরে।
অনেক দিন হয় খবর পাই না,
কেমন আছে তাও জানি না
বাড়ীতে টাকার টান পড়েছে
আরো অনেক সমস্যা আছে।
বিস্তারিত লিখে দিবি
এই আর কি।


তা গো মাসী
তোমায় আমি কেমনে বলি
লেখাও দরকার পত্রখানা
কিন্তু সেটা এখন হবে না।


কেন রে গোপাল
সমস্যা কি?
খরচ হবে তোর
কাগজ কালি?


না না মাসি
তা বলিনি।
এ কেমন কথা।
ঐ যে বললাম পায়ে ব্যথা।


কেমন কথা
পায়ে ব্যথা।
তুই তো শুধু পত্র লিখবি।
পায়ে ব্যথা তা সমস্যা কি?
এমনতো না, তুই-ই সেটা নিয়ে যাবি।


পা ব্যথা থেকেই হাত যে কাঁপে
আমার লেখা হয় যে বাজে
আমি ছাড়া তা কেউ না বুঝে।
তাই তো মাসী
এখন আমি
যদি দেই পত্র লিখে
তা আবার বুঝিয়ে দিতে
সেথায় আমারই হবে যেতে
কবিতাডাঙ্গার ভক্তপুরে
পায়ে ব্যথা, এত দূরে
যাই যে বলো কেমন করে?


দরকার নাই এমন লেখার
যেতে হবে যেটা বুঝিয়ে দেবার।
ক্ষিতিশই যদি না বুঝে
আসবে না তোর পত্র কাজে।
যাই রে গোপাল। ভালো থাকিস।
ভাল হলেই পা পত্র লিখিস।


---------------------------------------------
(০৪ জুন,২০১৬,বাস, মানিকগঞ্জ টু ঢাকা)