আমার অতি সখের ছিল বাবার প্রিয় সে চাদর,
ভাঁজের ফাকে লুকানো যতনে মমতাময় আদর।
নাই বা বলে গেলে চলে অনন্ত অসীমের পানে
আঁধার কবর সবাইকে পর কেউ কিছু না জানে।


আদর মাখা সে চাদর যে রয় আলমারির কোনে,
বাবার সে স্মৃতি মধুর প্রীতি হাতড়ায় অনুরণনে।
বাবার আদর কতই পরম ওমে-তে জড়ান চাঁদ,
শীত গ্রীষ্ম করি পার লয়ে দু'চোখের অশ্রু বাঁধ।


সুমিতা হাসে সুধীর আসে চাদরে মোড়ানো ওম,
বাবার পরশ খুঁজি সদাই ভালবেসে গালে চুম।
ধনুক চাঁদের কার্ণিশ ছোঁয়া মরু পবনের শনশন,
আলো আঁধারী ভুতলে এ মন প্রিয়তেই তনুমন।


বাবার আদর অঙ্গে জড়ায়ে সুবাহ স্বপন দেখি,
মানবতাহীন নির্বোধ দেহে চাদরের ওম আঁকি।
থরথর কাঁপা শীতের চাদর সকল শিশুর তরে,
আর নয় কেহ কাঁদে বাবা-হীন জাগ্রত অন্তরে।


স্থান: সাভার, ঢাকা।
তারিখ: ১৭ পৌষ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ/২৩ রবিউস সানি ১৪৪০ হিজরী/৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ খ্রীষ্টাব্দ।