বিধুমুখী
÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷
বিধুমুখী
তুমি এখন এখন-ই এসো না
একটু বিলম্বিত করো তোমার আগমন
না হয় তোমার
কৃষ্ণগহ্বর চুলগুলোকে অপেক্ষার রোদ্দুরে
শুকাও কিছুকাল
এখানে এই বাংলায় এখন ; সবকিছু ঠিকঠাক চলছে না


এখানে
এই কূপিত বাংলায়
এখন বেশ্যার প্রগাঢ় অমাবস্যা  
পতিতার চাতুর্যতায়
দেদারসে বিদ্ধ হচ্ছে অনিচ্ছার মুক্তিযুদ্ধ
নগ্ন আপোষের জারজ-জোস্নায়
খেলা করে কুকুর ও বেণিয়া কাক
চোখহীন চোখের
অন্ধকারে আমূল স্তন ডুবিয়ে জাবর কাটছে রাজ-ঈশ্বর


তাই বলছি
বিধুমুখী
নাহয় তোমার কলাশ্রয়ী আঙুলের
নখগুলোকে রিমুভার দিয়ে ঘষে ঘষে কাটাও
কিছু সংলগ্ন সময়
কেননা এই বাংলায় এখন প্রতিটা গণিকালয়ে
হরদম বিক্রী হচ্ছে ধর্ম
ধর্ম-চামার,
কাঠ-মোল্লা জনদরদি নেতা সবাই পোয়াতি নারীর
তলপেটের মতো
ফুলে-ফেঁপে উঠেছে রাতারাতি
আস্তিকদের জন্য
পুলসিরাত পার করার পরকীয়া তরিকাও বিকোচ্ছে
রাজনীতির পূতিগন্ধি চেম্বারে  
তাই আস্তিকদের
খাতায় নামটা লিখিয়ে-ই তোমাকে পয়গাম পাঠাবো
কেননা
আমাদের বেগানা মৈথুনে কূপিত হয়েছেন
নিরুপিত-ঈশ্বর  
সামান্য বেখেয়ালে
ফতোয়ায় ফতুর হয়ে যেতে পারে আমাদের মজদুর-প্রেম।


বিধুমুখী
নারী আমার
না হয় একটু জল ঢালার সময় নাও
তারপর স্বর্গের পাপ-শুভ্র বারোয়ারি উদ্যানে বসে
তুমি আর
আমি সংগমে সংগমে অপবিত্র করে দেব দেবালয়  
আর আমাদের আভিশপ্ত
যুগল মিলনে জন্ম নেবে ঈশ্বর-বিনাশী নরপুত্র  
একজন চে'গুয়েভারা অথবা
মৃত্যুহীন ক্ষুদিরাম  
আমরা ঈশ্বরের তস্কর পেয়াদাদের অভিশপ্ত
আলোহীন চোখ থেকে লুকিয়ে রাখবো আমাদের ঘামদগ্ধ ভ্রূণ।


তারপর
এদিকটা একটু জুড়োলে
তোমাকে ডেকে নেব এই গাঙেয় বাংলায়  
কতকাল
তোমার চুলের নারী-গন্ধি নেশা-ধরানো
প্রাগৈতিহাসিক ঘ্রাণে
আকন্ঠ নাক ডুবিয়ে বলা হয়না -
আমাকে পাপ দাও নরক দাও জল দাও বিধুমুখী।।


০৫/১০/১৪
(ঝালকাঠী)