জয়ন্তীর স্বপ্ন
  - - উদ্ভ্রান্ত পথিক


কি চেয়েছিলে?
যা চেয়েছিলে তা কি পেয়েছিলে?
নাকি না পাওয়ার আনন্দটাই তোমার অর্জন,
হেমন্তের পড়ন্ত বিকেলে হঠাৎ বৃষ্টির মতো
তুমিও কি এখন কান্না কর পরম তৃপ্তিতে?
যখন স্বপ্নকে যত্ন করে হৃদয়ের ব্যাংকে জমা রাখতে,
তখন কি ভেবেছিলে ঘূণাক্ষরে?
কোন একদিন স্বপ্নগুলোর পাখা গঁজাবে
কোন দূর্বিনিত দুঃশ্চরিত্রের নির্মম অপঘাতে
লুট হয়ে যাবে স্বপ্ন, সম্ভাবনা ও অভিলাষ!


তোমার স্বপ্নগুলো কি এখনও দিব্যি বেঁচে আছে?
নাকি মরে পচে মাটিতে মিশেছে অবলীলায়
ত্রয়োদশ বছরে একদিন কান্নারত শরীর নিয়ে,
তিন সন্ধ্যার অন্ধকারে কানে- মুখে
মিনতি করেছিলে-
তোমার স্বপ্নগুলো যেন নষ্ট না করি
তোমার স্বপ্নের গায়ে যেন ভুলেও কোন আঁচড় না দেই।
আমি কি সেদিন অতি সংযমী হয়েছিলাম?
নাকি তোমার অপারগতায় আমি উচ্ছন্নে গিয়েছিলাম!
আজ এতটা বছর পরে - নতুন করে হিসেব মিলিয়ে নাও,
সূক্ষাতিসূক্ষ গননাযন্ত্রে পরিমাপ করো আমার ত্যাগ
কিংবা তোমার নিখাঁদ স্বপ্নের আদর্শ মান।
অতঃপর জীবনের পরাবাস্তবতার মাপকাঠিতে
তুমি নিশ্চিত অনুধাবন করবে জয়ন্তী!
তোমার স্বপ্নের হত্যাকারী আমি নই
বরং তোমার জন্য আমার ত্যাগ আসমুদ্রহিমাচল
মহাসাগরের মতোই বিশাল - বিস্তীর্ণ - সীমাহীন,
হাজারো নক্ষত্রের ভিড়ে
ধ্রুবতারার মতো স্থির ও জীবন্ত।