কৃষক নামটাকেও শেষ অবধি
দেয়া হলো না কোনো ছাড়।
কেতাদুরস্ত “কৃষক বাবুরা” লুটে পুটে,
উজাড় করে, সব সাবাড়।


ডিজিটাল বাবুর লেন্সের মাঝ দিয়ে
ভেসে আসা লোনা ঘামের গাঢ় ছবি,
তাতে মহিমান্বিত হয় যে গরিবী --
তাতে তুমি একটা দীর্ঘ শ্বাস ফুসফুস থেকে চালান দিয়ে,
লাইক দিয়ে, শেয়ার দিয়ে, আরও অনেক কিছু উল্টিয়ে
অতঃপর চলে যাও নিত্য নতুন সেরোটনিন, ডোপামিনের সন্ধানে।


আর এদিকে কিছু প্রশ্ন অনাদরে পড়ে থাকে।
নলকিনী আর কতো লাল, জীবন্ত হলে রক্ত হবে?
জল আর কতো ঘন হলে, চোখের জল হবে?
আর কতো নীচতা দেখালে, অমানুষ হবো?
কাপুরুষ হতে বাকী আছে, আর কতো?


“বাবু-সোনা”-দের সর্বগ্রাসী লেহনে, উল্লাসের অনুরণনে
দেবালয়ের নেকাব আজ বেসামাল।
“বনভোজন উন্নয়নের” বাসী হাড়গুলো চাটতে চাটতে আজ


আমরা


টালমাটাল…


… মাতাল।


হয়ে গেছি পুরোপুরি, চন্ডাল।